কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী হাসপাতালে যাওয়ার দুটি সড়ক বেহাল দশা, মারাত্মক ঝুঁকিতে পথচারীরা

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবার প্রধান আশ্রয়স্থল ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রতিদিন অভ‍্যান্তরীন, বহির্বিভাগে ও জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী সহ কয়েকশ মানুষের পদচারণা ঘটে এ হাসপাতাল চত্বরে। কিন্তু হাসপাতালে যাতায়াতের দুটি সড়কের বেহাল দশায় ভোগান্তি পোহাতে হয় চিকিৎসা প্রত্যাশী ও পথচারীদের।

সরেজমিনে গিয়ে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাদ্দাম মোড় থেকে হাসপাতালগামী ও বাগভান্ডার রোড থেকে ভূরুঙ্গামারী বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া হাসপাতালগামী সড়ক দুটির বিভিন্ন স্থানে পিচ ওঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা এক পাশে দেবে গিয়ে উচু নিচু অবস্থায় মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যান বাহন চলাচল করছে। যেকোনও মুহূর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।

এলাকাবাসী শরিফুল, আজিজুল ও পলাশ জানান, হাসপাতালে যাতায়াতের সড়কের যে অবস্থা তাতে ঝাকুনিতে রোগী আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বয়স্ক ও প্রসূতি রোগীদের চরম বিপাকে পড়তে হয়। কিছু দিন আগে গর্ভবতী মহিলা রাস্তার ঝাকুনিতে হাসপাতালের প্রবেশ পথেই বাচ্চা প্রসব করে। পরে নার্সরা এসে মা ও শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা নাছিমা বেগম জানান, রাস্তা খারাপ দেখে হাসপাতালে রিকশা আসতে চায় না। জামতলা মোড় থেকে ১৫ টাকার ভাড়া ৩০ টাকা দিয়ে আসছি। সড়কটির এমন অবস্থা যে এতে চলাচলে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ে।

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম জানান, হাসপাতালগামী দুটি রাস্তা অত্যন্ত বেহাল। এ বিষয়ে মাসিক মিটিং এ একাধিকবার কথা বলেছি। খুব দ্রুত রাস্তা দুটি সংস্কারের কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জানান, সাদ্দাম মোড় থেকে হাসপাতাল হয়ে মইদাম পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ চলমান আছে। আর বাগবান্ডার রোড থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত আরসিসি ঢালাই রাস্তার বরাদ্দ চেয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে।