কুড়িগ্রামে দূর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও শিক্ষার নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষে মেলা অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও শিক্ষার নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহযোগিতায় ইএসডিও সংস্থার জিআরএস সিএসআই প্রকল্পের শিখন এবং ভালো চর্চাসমূহ অন্যান্য স্কুলে এবং কমিউনিটিতে ছড়িয়ে দিতে মেলার আয়োজন করা হয়।

শনিবার (২৪ ফেবূয়ারি) দিনব্যাপি মেলায় শিখন এবং ভালো র্চ্চাসমূহ ৬ টি স্টল এর মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়। কুড়িগ্রাম জেলার প্রত্যন্ত নদী বিধৌত কচাকাটা, বল্লবেরখাস ও কেদার ইউনিয়নে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও শিক্ষার নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল জাপানের অর্থায়নে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহযোগিতায়।

ইএসডিও সংস্থার জেন্ডার রেসপনসিভ স্কুল এন্ড কমিউনিটি সেফটি ইনিশিয়েটিভ জিআরএসসিএসআই প্রকল্পের শিখন এবং ভালো র্চ্চাসমূহ অন্যান্য স্কুলে এবং কমিউনিটিতে ছড়িয়ে দিতে লার্নিং ভিজিট অন কম্প্রিহেনসিভ স্কুল সেফটি ফ্রেমওয়ার্ক এ্যান্ড গুড প্রাকটিস এর আয়োজন করা হয়েছে।

উক্ত আয়োজনে স্কুল ও মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা শিখন এবং ভালো র্চ্চাসমূহ তুলে ধরে। মেলার উদ্বোধন করেন নাগেশ্বরী সরকারী কলেজের প্রভাষক মাহাবুবা হোসেন, কচাকাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান- মো:আব্দুল আউয়াল, সিএসও সহ সভাপ্রতি-মো: রফিকুজ্জামান, নায়েকের হাট মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপ্রধান মো: মোস্তাফিজার রহমান।

নায়েকের হাট মাদ্রাসার সুপাররেন্টেন (ভারপ্রাপ্ত) মো: লুৎফর রহমান, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাথীবৃন্দ, ইয়ুথ ক্লাবের সদস্যবৃন্দ,ওয়াড ও ইউনিয়ন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমীবৃর্ন্দ, অন্যান্য এনজিওর প্রতিনিধি, কমিউনিটির সাধারন জনগন এবং কুড়িগ্রাম জেলা ও নাগেশ্বরী উপজেলা থেকে আগত বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ।

উক্ত ঝঞঋ ঋধরৎ এ উপস্থিত ছিলেন এজঝঈঝও প্রকল্পে প্রকল্প ব্যবস্থাপক মতিয়া বেগম মুক্তি, এ্যাকাউন্ট এন্ড এডমিন অফিসার মো:রহমতউল্লা, মনিটরিং ও ডকুমেন্টেশেন অফিসার মো: মোক্তারুল ইসলাম, ফিল্ড অফিসার মোছা: লাইলি খাতুন এবং তানজিমা আক্তার।
প্রকল্পটি ৩বছর যাবৎ ১ টি মাদ্রাসা ও ৩ টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাথে কাজ করছে এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে।

এ সময় আগত অতিথিরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন ও অংশগ্রহন কারীদের সাথে কথা বলেন। কচাকাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান- মো:আব্দুল আউয়াল বলেন,এজঝঈঝও প্রকল্পের মাধ্যমে নায়েকের হাট দাখিল মাদ্রাসার এসএমসি,শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষন পেয়েছে,তাদের দক্ষতা বেড়েছে বিশেষ করে র্দুযোগে নিরাপদে রাখা, তাদের আচরণ ,স্বভাবে পরিবর্তন এসেছে সেইসাথে তাদের কথা বলার দক্ষতা বেড়েছে,তারা বিভিন্ন ফোরামে কথা বলছে,বক্তব্য দিচ্ছে।

নায়েকের হাট মাদ্রাসার সুপাররেন্টেন (ভারপ্রাপ্ত) মো: লুৎফর রহমান বলেন, এসএমসি, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে স্কুল উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রনয়নের মাধ্যমে নারীবান্ধব ওয়াশব্লক প্যাডসপ ও ফিডব্যাক ম্যাকানিজম চালু হওয়ার ফলে মেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে ধরে রাখতে ও নিয়মিত উপস্থিতি বাড়াতে বিশেষ ভুমিকা রাখছে এবং প্রতি বছর মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়ছে।

মাদ্রাসা ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কাঠামোগত অনেক পরিবতন এনেছে শ্রেনীকক্ষ রিপিয়ারিং ও সম্প্রসারন, শ্রেনীকক্ষে ফ্যান সেটিং রং করা, রেম্প তৈরী, এবং সীমানা প্রাচীর তৈরী করার ফলে মেয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশগ্রহন করতে পারে যা একটি নিরাপদ শিক্ষা ও শিখন সহায়ক পরিবেশ তৈরীতে এই প্রকল্প বিশেষ ভ‚মিকা রেখেছে।

নাগেশ্বরী সরকারী কলেজের প্রভাষক মাহাবুবা হোসেন বলেন, দূর্যোগের ঝুকি কমানোর জন্য এস টি এফ নিয়ে ৬ টি কমিটি গঠন করেছে এবং কমিটিগুলো বিভিন্নভাবে দূর্যোগ মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে একদিকে যেমন নিজের পরিবারে দূযোগের ঝুকি কমাচ্ছে অন্যদিকে তেমনি কমিউনিটির অন্যদেরকেও দূর্যোগ মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি নিতে সহযোগিতা করছে।

স্কুল ভিত্তিক কন্টিজেন্সি প্ল্যান প্রনয়ন এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দূর্যোগের ঝুকি হ্রাস প্রস্তুতি এবং জরুরী সাড়া প্রদানে দক্ষতা বেড়েছে, যা আগামী দূযোগকালীন সময়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে সহায়তা করবে