কুবির সি’ ইউনিটে খালি থাকছে কোটার আসন

ইমদাদুল হক মিরন, কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তিতে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটে কোটার সম্মানার্থে খালি থাকবে ৩টি আসন। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসন খালি থাকা স্বত্বেও মেধাতালিকা থেকে শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির ‘সি’ ইউনিট প্রধান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার।

কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে আসন খালি থাকবে-এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সমালোচনা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদককে জানান, সারাদেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সবচেয়ে বেশি আসনসংকট ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে। এই অবস্থায় আসন খালি রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। কোটার প্রার্থী না পাওয়া গেলে যে আসনগুলো খালি থাকবে তাতে মেধাতালিকার ক্রম অনুযায়ী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হোক। এতে কোনোভাবেই কোটার অমর্যাদা করা হচ্ছে না।

জানতে চাইলে ‘সি’ ইউনিট প্রধান জানান, ”সি’ ইউনিটে কোটার জন্য নির্ধারিত ১৪টি আসনে পাশ করেছে ১১ জন। ভর্তি কমিটির নিয়মানুযায়ী এই শিক্ষার্থীরাই ভর্তির সুযোগ পাবে। কোটার বাইরে মেধাতালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করার কোনো সুযোগ নেই।’

বাকি ৩ আসন খালি রাখার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোটার সম্মানে এসব আসন খালি থাকবে। কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত এটাই। কমিটি যদি এ শর্ত শিথিল করে তবে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো পাইনি।’

এছাড়াও কোটায় পাশকৃত ১১ জনের মধ্যে কেউ অনুপস্থিত থাকলে সেই আসনও একই কারণে খালি রাখা হবে বলে জানান এই অধ্যাপক।

গত (১০ নভেম্বর) সকালে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ‘সি’ অনুষদের ৪টি বিভাগে মোট ২৪০টি আসনে জায়গা পেতে আবেদন করেন ১২ হাজার ১৮৯ জন শিক্ষার্থী। আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮ হাজার ২৬০ জন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এতে পাশ করেন মাত্র ৪৮৮ জন।

ভর্তি পরীক্ষায় শতকরা ৯৪ জন ফেল করা এই ইউনিটে কোটার জন্য ১৪টি আসন নির্ধারিত রয়েছে। এতে মুক্তিযোদ্ধার জন্য ৭ টি, উপজাতি ২টি, অ-উপজাতি ১টি, শারীরিক প্রতিবন্ধী ১ টি, পোষ্য ২টি এবং বিকেএসপি’র জন্য কোটায় ১টি আসন রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী ২৫ ও ২৬ নভেম্বর ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। ২৬ নভেম্বর বিকাল ৩টা থেকে ‘সি’ ইউনিটে সকল কোটা উত্তীর্ণদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে এবং একইদিন ফলাফল প্রকাশিত হবে। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ২৭ নভেম্বর থেকে ০৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। একইসাথে মাইগ্রেশন (বিভাগ পরিবর্তন) করা যাবে ১০ ও ১১ ডিসেম্বর। ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।