সময় পেরিয়ে গেলেও চুক্তিবদ্ধ হয়নি মিলাররা

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সরকারীভাবে চাল ক্রয় অনিশ্চিত

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও মিলাররা এখনো উপজেলা খাদ্য বিভাগের সাথে চাল জমাদানের জন্য চুক্তিবদ্ধ হননি।

ফলে চলতি মৌসুমে সরকারীভাবে চাল ক্রয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। উপজেলার চাতাল ও মিল মালিকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত চালের দামের চাইতে বাজারে চালের দাম বেশি হওয়ায় ও মোট বিলের উপর মিলারদের ২% উৎস্যকর ধার্য করায় মিলাররা সরকারি খাদ্য গুদামে চাল দিতে আগ্রহী হচ্ছেনা। এর ফলে চলতি মৌসুমে সরকারীভাবে আমন চাল ক্রয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে ২২-২৩ অর্থ বছরে উপজেলায় প্রতি কেজি চাল ৪২ টাকা দ্বরে ৩ হাজার ৬৫১.৯৯ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । এ উপজেলায় মোট মিলারের সংখ্যা ১৩৩টি। গত ২৬ নভেম্বর সরকারের সাথে মিলারের চুক্তিবদ্ধ হবার শেষ দিন ছিলো কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও একজন মিলারও চুক্তিবদ্ধ হয়নি। পরে চুক্তির মেয়াদ ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা খাদ্য বিভাগ।

উপজেলা মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মন্ডল জানান, বর্তমান বাজারে ধানের দাম বেশী । বাজারে পর্যপ্ত ধানও নেই। চড়া মূল্যে ধান ক্রয় করে গুদামে চাল সরবরাহ করা সম্ভব নয়। এছাড়া এবছর মোট বিলের উপর ২% উৎস্যকর ধরা হয়েছে। এজন্য মিলাররা চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেনা।

এব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ আব্দুল আহাদ জানান, বর্তমান বাজারে প্রতি মণ ধানের মূল্য ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। ধান ক্রয় করে চাল তৈরী ও মিটার পাশের জন্য চাল শুকানো ও গুদাম পর্যন্ত চাল পরিবহন এবং মোট বিলের উপর মিলারদের ২% উৎস্যকর ধার্য্য করায় মিলাররা চাল দিতে আগ্রহী হচ্ছেনা। তবে সরকারীভাবে সমঝোতা করার চেষ্টা চলছে।