কুড়িগ্রিমের ভূরুঙ্গামারীতে আমন ধান কাটা শুরু, বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চলতি রোপা আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ছাড়িয়ে গেছে রোপা আমন চাষের নির্ধারিত লক্ষ্য মাত্রা।

দিগন্ত জোড়া মাঠে সবুজের সমারোহ শেষে ধানের শীষের সোনালী আভায় কৃষক স্বপ্ন বুনছে। ফলনের ভারে ধানের শীষ নুয়ে পড়েছে মাটির দিকে । যতই দিন যাচ্ছে ধানের রূপ ততই বদলাচ্ছে। শুরু হয়েছে ধান কাটা আর কৃষক প্রস্তুতি নিচ্ছেন নবান্ন উৎসবের।

উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুড়ে ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে,
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়, সঠিক পরিচর্যা ও রোগবালাই কম হওয়ার ফলে চলতি মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে আশানুরূপ ফলন পাবেন বলে আশা কৃষকের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যেসব ক্ষেতের ধান কাটার জন্য উপযুক্ত হয়েছে, সে সব জমিতে কৃষক শ্রমিক নিয়ে ধান কাটা শুরু করেছেন। ধান কেটে তা মাঠে সপ্তাহ খানেক শুকানোর জন্য ফেলে রাখছে। পরে সেগুলো আঁটি বেঁধে গৃহস্থের গোলায় তুলতে তা মাড়াই করছেন কৃষক।

উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল বারেক জানান, ৫ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছেন। ফলন খুব ভালো হয়েছে। কিছু ধান কেটে বাড়িতে এনেছেন।কাটা থেকে মাড়াই পর্যন্ত শ্রমিকরা এক বিঘা (৩২ শতক) প্রতি নিচ্ছেন ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার
২০০ টাকা। নতুন আমন ধান ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে ১৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা ছাড়িয়ে কৃষক ১৬ হাজার ৮৫৩ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করেন। আর ধান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়ে ৭৭ হাজার মেট্রিক টন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুজন কুমার ভৌমিক জানান, চলতি রোপা আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলন পেতে মাঠ পর্যায় কৃষকদের নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। সব ঠিক থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।