কৃষিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি রয়েছে মন্ত্রণালয়ের : কৃষিমন্ত্রী

কৃষিতে বন্যা, খরা, সাইক্লোনসহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দেশের কৃষি প্রকৃতিনির্ভর এবং কৃষি সবসময়ই বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকে। সাম্প্রতিক বন্যায় সিলেট, সুনামগঞ্জসহ ১২টি জেলায় ফসলের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, আগস্টে আরেকটি ভয়াবহ বন্যার পূর্ভাবাস রয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে কৃষিখাতে সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্ব (পিপিপি) নিয়ে পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান এবং কৃষি-শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে সরকারের এখন মূল লক্ষ্য হলো কৃষিকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিকীকরণ করা, যাতে কৃষকের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটে। সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। তবে এক্ষেত্রে বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তাদেরও সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও যান্ত্রিকীকরণে বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। কৃষিযন্ত্র অনেক ব্যয়বহুল, ৯০% যন্ত্র আমদানিনির্ভর। এসব কৃষিযন্ত্র সরকার দেশে উৎপাদন করতে চায়। পিপিপি এখানে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারবে। বর্তমানে ডাল, তেলসহ যেসব কৃষিপণ্য আমদানি করতে হয়, তা উৎপাদনে ৪% সুদে ঋণ দেয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে সকল কৃষিপণ্যে ৪% সুদে ঋণ দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, চাল আমদানির ফলে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। বাজার স্থিতিশীল রাখতেই সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। চাল আমদানির একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টার্গেট রয়েছে। সেই পরিমাণ চাল দেশে এসে গেলে আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বিদেশিদের সাথে বিএনপির সাম্প্রতিক বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিদেশি বা আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে বিএনপি মতবিনিময় করতেই পারে। তবে ক্ষমতায় যেতে হলে বিএনপিকে দেশের জনগণের কাছে যেতে হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই ক্ষমতায় আসতে হবে।