কোন অপশক্তি দেশ উন্নয়নের পথকে বাঁধাগ্রস্থ করতে পারবেনা : খাদ্যমন্ত্রী

যারা নির্বাচনে অংশ নেয়না তারাই গণতন্ত্রের প্রকৃত হত্যাকারী। এ হত্যার দায়ে তাদের গণ আদালতে বিচার হওয়া উচিৎ। সাম্প্রদায়িকতার দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বিএনপি। তারা নির্বাচনে না এসে প্রমাণ করেছে তারাই গণতন্ত্রের মূল হত্যাকারী। শুক্রবার বেলা ১২টায় নওগাঁর পত্মীতলা উপজেলার নজিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে পত্মীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

এসময় বিএনপি- জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন সহ্য করতে না পেরে সুনাম ক্ষুন্ন করতেই সা¤প্রদায়িকতার দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বিএনপি। কোরআন অবমাননা কিংবা মন্দিরে হামলা তারই একটি অংশ। কোন অপশক্তি দেশ ও জাতির উন্নয়ন এর পথকে বাঁধাগ্রস্থ করতে পারবেনা। সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে দেশের কল্যানে।

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল। শেখ হাসিনার কাছে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কোন বাধা রুখে দাঁড়াতে পারবেনা। বাংলাদেশের সকল অর্জন বঙ্গবন্ধু এবং তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার। বাংলাদেশ উন্নত হয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে চাই শেখ হাসিনার হাত ধরে।

মন্ত্রী আরো বলেন, যদি দেশের গ্রাম পর্যায়ে অতি সাধারণ মানুষকেও বলা হয় কৃষি উপকরণসহ যে সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন,সেগুলো কে দিচ্ছেন কার প্রচেষ্টায় সম্বব হয়েছে। তখন সেই মানুষটিও বলতে শেখ হাসিনা দিচ্ছেন। যা আগে এত সুয়োগ সুবিধা ছিলনা। আমার বিশ্বাস সেই মানুষগুলোও কখনো শেখ হাসিনার নৌকা ছাড়া অন্য কোথাও ভোট দিবেনা।

এসময় নেতা- কর্মীদের উদ্দেশ্য মন্ত্রী বলেন, সম্মেলন এর সময় দেখি নেতা হয়ে যাওয়ার জন্য সবাই ব্যস্ত হয়ে যান। সম্মেলন শেষ হলে পরে আর খোঁজ পাওয়া যায়না। এগুলো করা যাবেনা। মনে রাখতে হবে আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মচারী,শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কর্মচারী এবং বাংলাদেশকে গড়ার কর্মচারি আমরা।

সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, নওগাঁ-২ আসনের এমপি শহিদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৫ আসনের এমপি ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরীকে সভাপতি এবং আবুল গাফফারকে সাধারণ সম্পাদক করে পতœীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।