ক্ষমতা ছাড়তে হচ্ছে, আগেই জানতেন নওয়াজ

পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার এক সপ্তাহ পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ তার ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ এনেছেন। রোববার দেশটির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে নওয়াজ বলেন, দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে তিনি সংঘাতে যেতে চান না। তবে তাকে অযোগ্য ঘোষণার পেছনের ষড়যন্ত্র শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাওয়ালপিন্ডিতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ওই বৈঠকে নওয়াজ বলেন, ‘এ ঘটনার পরও আমি চাপ প্রয়োগ করতে পারবো না। জবাবদিহীতার নামে আমি শোষণের শিকার হয়েছি।’

পদচ্যুত এই পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে তা তিনি জানতেন। এরপরও তিনি এমন কোনো পদক্ষেপ নেননি যাতে অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে।’

নওয়াজ বলেন, ‘আমার সঙ্গে কী ঘটছে সেবিষয়ে আমার পরিষ্কার ধারণা ছিল।’ তিনি বলেন, ‘দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা তিনি নেবেন না।’

‘আমার এবং দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হয়েছে তা শিগগিরই প্রকাশ করবো।’ পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত নওয়াজ শরিফ এমন এক সময় দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিচ্ছেন; যখন শীর্ষ আদালতের রায়ে দেশের সাধারণ জনগণের সমর্থন রয়েছে। আদালতের এই রায় তার দল এবং মিত্রদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে দেখছেন অনেকেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) এক সিনেটর বলেন, ‘দেশে কোনো প্রতিবাদ নেই, আন্দোলন নেই, বড় ধরনের সমাবেশ নেই, কিছুই নেই। অন্যদিকে মিষ্টি বিতরণ করা হচ্ছে এবং (নওয়াজের পদচ্যুতির পর) আনন্দ উৎসব করতে দেখা গেছে। ক্ষমতাসীন একটি রাজনৈতিক দলের জন্য এটি দুঃস্বপ্নের মতো।’

নওয়াজ-ব্যবসায়ীদের বৈঠকের আগে একটি সূত্র বলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী সম্ভাব্য হুমকির ব্যাপারে বিস্তারিত জানাননি। ‘তিনি কোন প্রেক্ষাপটে এসব কথা বলছেন এবং তার সঙ্গে কী ঘটতে যাচ্ছে; সেবিষয়েও পরিষ্কার করে কিছু বলেননি। তবে তিনি যে ধরনের কথাবার্তা বলছেন, তাতে স্পষ্ট যে প্রত্যাশিত ইতিবাচক কোনো কিছুই ঘটেনি।’

ওই সূত্র বলছে, নওয়াজের নীরব থাকার অর্থ হচ্ছে, জবাবদিহীতার নামে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি।‘এটা কী আসলেই দুর্নীতি সম্পর্কিত কোনো ব্যাপার? পানামা কেলেঙ্কারিতে শুধু কি আমার পরিবারের নাম রয়েছে?- প্রশ্ন শরিফের।