খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় যেদিকেই তাকানো হয় সেদিকেই কেবল সোনালি ধানের সমারোহ

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা মাটিরাঙ্গা উপজেলায় যেদিকেই তাকানো হয় সেদিকেই কেবল সোনালি ধানের সমারোহ দেখা যায়। জেলার ৯টি উপজেলা মাটিরাঙ্গাসহ বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। কষ্টার্জিত ধান কর্তনে মাঠে মাঠে কৃষকের ঘাম ঝরছে। বোরো ধানের বাম্পার ফলনে ফসলের মাঠে ফুটে উঠেছে কৃষকের হাসি। কিন্তু কৃষকের এই হাসির আড়ালে দুশ্চিন্তাও লুকিয়ে রয়েছে।

কারণ, সামনে মোচা কালবৈশাখী ঝড়, বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কায় চিন্তিত তারা। তবে এসব না হলে এবার বোরোর বাম্পার ফলন ঘরে তুলবেন কৃষকরা এমনটাই আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
জেলার মাটিরাঙ্গায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় তীব্র রোদ গরম উপেক্ষা করে চলছে বোরো ধান কাটার ধুম। বর্তমানে আগাম জাতের ধান কাটছেন কৃষকরা। অন্য জাতের ধানও সোনালি বর্ণ ধারণ করেছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সব জাতের ধান কাটবেন তারা। তবে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনে ফসলের মাঠে ফুটে উঠবে কৃষকের হাসি।
মাটিরাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে ফসলের মাঠে যেদিকেই তাকানো হয় সেদিকেই কেবল সোনালি ধানের সমারোহ। রোদ আর হালকা বাতাসে ফসলের মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। মাঠ গুলোতে ধান সবুজ বর্ণ থেকে হলুদ বর্ণ ধারণ করছে।

শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর কৃষকরা বোরো ধানের ভালো ফলনের আশা করছেন। তবে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে কিছু কিছু ফসলের মাঠের ধান নষ্ট হওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেকে।

এদিকে প্রচন্ড রোদে ধান কাটতে কষ্ট হচ্চে কৃষকদের, মাথায় গামছা বেঁধে ধান কাটছেন তারা। তাছাড়া ক্রমাগত দ্রব্রমূল্যের ঊধ্বগতির কারণে বাড়ছে ধান কাটা শ্রমিকের দাম। পুরষ শ্রমিক দিনে ৬০০টাকা করে কাজ করে থাকেন। তাছাড়া শ্রমিকের দাম বৃদ্ধির কারণে বাড়ছে পাহাড়ী নারী শ্রমিকের কদর মাটিরাঙ্গা উপজেলার প্রায় সকল স্থানে পাহাড়ী নারী কর্তৃক ধান কাটতে দেখা যায়। তাদের দিয়ে কম দামে কাজ করা যায় যায় বিধায় সকলে এসব নারী শ্রমিকের দিকে ঝুঁকছেন। এজকন নারী পাহাড়ী শ্রমিককে ৪০০টাকায় সারাদিন কাজ করানো যায়। এজন্য পাহাড়ে বর্তমানে পাহাড়ী নারী শ্রমিকদের বেশ চাহিদা।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ী, ২০২২-২৩অর্থ বছরে মাটিরাঙ্গা উপজেলায় উফশী জাতের ধান আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয় ৮৪০হেক্টর জমি। আবাদের অগ্রগতি নির্ধারন করা হয় ৮৪২হেক্টর জমি। সম্ভাব্য উৎপাদন ৪৩৮৭.৪০মেট্রিক টন। হাইব্রিড আবাদের লক্ষমাত্রা ১০৭০হেক্টর জমি। আবাদের অগ্রগতি ১০৮৩হেক্টর জমি। সম্ভাব্য উৎপাদন ৭০৮১.৮০মেট্রিক টন। আবাদকৃত মোট জমির পরিমান ১৯১০হেক্টর জমি। কর্তনকৃত মোট জমির পরিমান ১৯১৫হেক্টর। মোট উৎপাদন ১১৪৬০.২মেট্রিক টন ধান।