খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি করেছিলো জিয়াউর রহমান : সম্প্রচারমন্ত্রী

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি ও সম্প্রীতির বন্ধন নষ্ট করেছিলেন জিয়াউর রহমান এমন মন্তব্য করেছেন তথ্য সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, ‘পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এখনও পাহাড়ে উন্নয়ন ও শান্তি স্থাপনের জন্য কাজ করছে আওয়ামীলীগ সরকার। ’সরকারের নানামুখী উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বের কারণে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কাছে বাংলাদেশ এখন কেস স্টাডি। পার্বত্য চট্টগ্রামে সড়ক যোগাযোগের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এখন সীমান্ত সড়ক বানাচ্ছি আমরা।’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাহাড়-সমতলে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। তিনি পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করেছেন। পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে আস্থার সঙ্কট নেই, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সৃষ্টি হয়েছে। বিচ্ছিন্ন যেসব ঘটনা ঘটছে তা শুধু চাঁদাবাজির জন্য।

বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। ১০ই ডিসেম্বর সরকারকে দড়ি ধরে টান দিতে হবে মির্জা ফখরুলের এমন হুঙ্কারের উদ্ধৃত করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারকে দড়ি ধরে টান দিতে গিয়ে তারা নিজেরাই চিৎপটাং হয়ে গেছে। সরকারকে দড়ি ধরে টান না দেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, এরপর দড়ি ধরে টান দিলে, দড়ি ছিড়ে হামাগুড়ি দিতে হবে। সরকারের ভীত অনেক গভীরে গ্রথিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ গণমানুষের দল। আওয়ামীলীগ কৃষক-শ্রমিকের দল। আওয়ামীলীগ রাজপথ থেকে গড়ে উঠা দল। আমরা রাজপথ কাউকে ইজারা দেইনি। আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকবো।

শনিবার (১১ই মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ মাঠে জেলা কৃষক লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান(প্রতিমন্ত্রী সমমযাদা সম্পন্ন) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনে সংসদ বাসন্তি চাকমা এমপি, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী এবং যুগ্ম সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু এবং কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আকবর আলী চৌধুরীপ্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

খাগড়াছড়ি জেলা ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে কৃষক লীগের আহবায়ক পিন্টু ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু। খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: দিদারুল আলম দিদার, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট রাবেয়া হক ও জাতীয় কমিটির সদস্য মোতাহার হোসেন বাবু ছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ, কৃষকলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

পরে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে পিন্টু আচার্য্যকে সভাপতি এবং খোকন চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে খাগড়াছড়ি জেলা কৃষকলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।