খায়রুল হক চাকরিলোভী, ভণ্ড : রিজভী

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘তিনি আইনের শাসন, গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার তথা জনগণের শত্রু ও বর্তমান এক ব্যক্তির ভয়াবহ দুঃশাসনের ঘৃণ্য সেবক। খায়রুল হক যুক্তি, বিবেকবর্জিত ও চাকরিলোভী ও ভণ্ড হিসেবে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ঠাঁই হবে।’

শুক্রবার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘আপনি (এ বি এম খায়রুল হক) তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে নির্বাচনহীন এক ব্যক্তির দুঃশাসন চালু রাখতে সহায়তা করে দেশের স্থিতিশীলতা ধ্বংস করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা দেশের মানুষের আশা-ভরসার জায়গা ছিল। এ ব্যবস্থা বাতিল করে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক দেশের গণতন্ত্রের জন্য সর্বোচ্চ খারাপ নজির স্থাপন করেছেন।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আবার ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় আদালতে প্রকাশ্যে পড়ে শোনানোর সময় তিনি বলেছিলেন, আরও দুই মেয়াদের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। অথচ এর ১৬ মাস পর যখন তিনি পূর্ণাঙ্গ রায় লিখিতভাবে প্রকাশ করলেন তাতে এ কথাটা বাদ দিয়ে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন।’

রিজভী বলেন, ‘একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির সরকারের এ ধরনের চাকরি গ্রহণ করা নজিরবিহীন এবং আত্মবিক্রয়ের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ভবিষ্যতে হয়তো আরও বড় কোনো পুরস্কারের আশায় ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে তিনি মনগড়া কথা বলেছেন। তার ওই বক্তব্য নিয়ে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে এ বি এম খায়রুল হক দেশকে চূড়ান্তভাবে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। গণতন্ত্রকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা এবং সংঘাতময় পরিস্থিতির জন্য বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকই দায়ী।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি ও আইনজীবী নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।