গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে না চাওয়ায় প্রেমিকাকে হত্যা

প্রায় বছরখানেক ধরে চলছিল প্রেম। সেই সুবাদে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়। একপর্যায়ে গর্ভবতী হয়ে পড়েন প্রেমিকা। এতেই ঘটে বিপত্তি। প্রেমিকার গর্ভের সন্তান নিজের হলেও প্রেমিক অস্বীকার করেন। এ নিয়ে শুরু হয় মনোমালিন্য। একপর্যায়ে প্রেমিকাকে হত্যা করেন প্রেমিক।

রংপুরের মিঠাপুকুরে কিশোরী মোসলেমা খাতুন হত্যা মামলায় প্রেমিক নাহিদ হাসানকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন চাঞ্চল্য তথ্য বেরিয়ে আসে। রোববার সন্ধ্যায় নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন নাহিদ।

পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। নাহিদ মিঠাপুকুর উপজেলার দলসিংহপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।

জবানবন্দিতে নাহিদ জানান, মোসলেমা খাতুন সম্পর্কে তার চাচাতো বোন। প্রায় এক বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপর নাহিদ দিনাজপুরে চাকরিতে চলে যান।

১৫ দিন আগে নাহিদকে মোসলেমা জানান, তিনি গর্ভবতী। কিন্তু নাহিদ তা অস্বীকার করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। ঘটনার দিন ২২ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নাহিদকে ফোন দিয়ে দেখা করতে বলেন মোসলেমা। প্রথমে নাহিদ রাজি না হলেও পরে বাড়ির পাশের একটি ভুট্টাক্ষেতে দেখা করেন। এ সময় গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বলেন নাহিদ। এতে রাজি হননি মোসলেমা। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ভুট্টাক্ষেতেই তাকে মেরে ফেলেন। এরপর নাহিদ নিজ বাসায় চলে যান।

শনিবার রাতে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভাংনি ইউনিয়নের বউরাকোট গ্রামের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে মোসলেমার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মোসলেমা একই গ্রামের মোতালেব মিয়ার মেয়ে। তিনি দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।