‘জনপ্রিয়তা বেড়েছে আ’লীগের, কমেছে বিএনপির’

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিচার্স ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) এক জরিপ বলছে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি বিএনপি এবং জোটের শরীক দল জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা কমেছে।

এ কারণে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সমর্থন লাভে সক্ষম হবে। আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং জঙ্গিবাদের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে বিএনপি এবং শরীক দল জামায়াতকে প্রচণ্ড প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হবে।

বাসস জানায়, দেশে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং দুর্নীতির কারণে জনমনে কিছুটা উদ্বেগ উৎকন্ঠা থাকলেও বেশির ভাগ জনগণ তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী করছে না।

২০১৭ সালে মাঝামাঝি সময়ে চালানো ওই জরিপ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশের জনগণের আওয়ামী লীগ এবং দলের প্রধান শেখ হাসিনার প্রতি দৃঢ় সমর্থন ও ব্যক্তিগত ভালবাসা রয়েছে। তাদের এই আদর্শভিত্তিক আবেগপ্রবণ ভালবাসার পেছনে দুটি কারণ লক্ষ্য করা গেছে। এর একটি হচ্ছে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক উন্নয়ন এবং আরেকটি শেখ হাসিনা ও তার দলের ইতিহাস। আর এই দুইয়ের সমন্বয়ই তৈরি করেছে আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের টেকসই সমর্থন।

জরিপ প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির মূল কারণ হচ্ছে তিনি দেশবাসীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রচুর কাজ করেছেন এবং তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

এছাড়াও জরিপে অংশ গ্রহণকারীরা নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষার বিস্তার, নেতৃত্ব এবং ব্যক্তিগত শিক্ষা ও দেশ প্রেমের জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন।

জরিপে অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে খুলনার একজন শেখ হাসিনা সম্পর্কে বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য তিনি শেখ হাসিনাকে ভালবাসেন ও শ্রদ্ধা করেন।

ময়মনসিংহের একজন নারী বলেন, দরিদ্র্যদের পাশে থাকার জন্য তিনি তাকে পছন্দ করেন। আরেক এক নারী বলেন, শেখ হাসিনা মানে বঙ্গবন্ধু, আর বঙ্গবন্ধু মানে মুক্তিযুদ্ধ।

বিএনপি এবং জামায়াতের ভিন্নচিত্র ফুটে উঠেছে জরিপ প্রতিবেদনে। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দুর্নীতি এবং জামায়াতের স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকা ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কারণে এ দুটি দলের জনপ্রিয়তা কমেছে।

বিএনপি ও খালেদা জিয়া সম্পর্কে জরিপে অংশ নেওয়া কিছুসংখ্যক উত্তরদাতা খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেন।

তাদের একজন বলেন, বিএনপি মানেই খালেদা জিয়া। বিএনপিতে কোনো গণতন্ত্র নেই। তারেক রহমানের আদেশ দলকে মেনে চলতে হয়। শেখ হাসিনার ছেলে উচ্চ শিক্ষিত। খালেদা জিয়ার ছেলে স্বল্প শিক্ষিত।

খুলনার এক নারী বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। আমি যখনই বিএনপি’র কথা শুনি, তখনই ভীতসন্ত্রস্ত হই।

জরিপে অংশ নেওয়া অধিকাংশই জামায়াত সম্পর্কে বলেন, জামায়াতে ইসলামী কোনো ইসলামী দল নয়। তাদের কর্মকাণ্ড ইসলামিক নয়। ইসলাম শান্তির ধর্ম। বর্তমানে দেশ ভাল চলছে। প্রতিটি সেক্টরে নারীর অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অথচ জামায়াত রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে নারীর প্রতি অবজ্ঞা করা হবে। জামায়াত একটি পাকিস্তানী রাজনৈতিক দল। তারা অপরাধী, সাম্প্রদায়িক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা করে না।