ফিল্টারে লালবাতি, লিফটে বিড়ম্বনা, ধীরগতির ওয়াইফাই

জবির ছাত্রীহল নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল জর্জরিত নানা সমস্যায়।

অনাবাসিকতার তকমা ঘুচিয়ে ২০২২ সালের ১৬ মার্চ উদ্বোধন করা হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল। উদ্বোধনের এক বছর না গড়াতেই চোখে পড়ছে বেশ কিছু সমস্যা।

১৬ তলা বিশিষ্ট হলে রয়েছে ৪টি লিফট। শিডিউল মোতাবেক একসাথে ২টি লিফট চালু থাকে। কিন্তু প্রায় দিন লিফটে শিক্ষার্থীদের আটকে পড়ার ঘটনা বেড়ে চলেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লিফট পরিচালনাকারীর ভাষ্যমতে, লিফটগুলো উন্নতমানের নয়। যার কারণে এই বিড়ম্বনা গুলো সৃষ্টি হচ্ছে।আরেকজন বলেন, ছাত্রীরা লিফটের ভিতর বাদামের খোসা, বড়ই, টিস্যুসহ অন্যান্য আবর্জনা ফেলে। যার কারনেও অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়।

হল চালুর প্রথমেই সুপেয় খাবার পানির অভাবে গুরুতর অসুস্থ হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। তথ্যগুলো গণমাধ্যমে তুলে ধরার পর টনক নড়ে হল কতৃপক্ষের। প্রতি ফ্লোরে ফিল্টারের ব্যবস্থা করে দেয় কিন্তু ফিল্টার অকেজো হওয়ার খবর একাধিক বার পাঠালেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানায় ছাত্রীরা।প্রায় ২ মাস যাবৎ ক্যান্টিনসহ অধিকাংশ ফিল্টারে জ্বলছে লালবাতি যা সরেজমিনে দেখা যায়। এছাড়াও ওয়াশরুমের বেসিন, শাওয়ার, কল সহ অনেক সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।

ছাত্রীদের জন্য দেওয়া ওয়াইফাই ব্যবস্থাও অনেক নাজুক। যেহেতু মঙ্গলবার অনলাইন ক্লাস থাকে সবার সেহেতু সবাই ভোগান্তিতে পড়ছে। এই বিষয় কর্তৃপক্ষকে অবগত করলেও কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়েও ছাত্রীরা ভোগান্তিতে আছে। ডাস্টবিন গুলো কিছুদিন পর পর পরিষ্কার করা হয়।যার ফলে যেদিন পরিষ্কার করা হয় না সেদিন আবর্জনার পঁচা দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে যায়। আর পঁচা আবর্জনা থেকে জন্ম নিচ্ছে তেলাপোকা, মশা ও মাছি। যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

ফিল্টারে জ্বলছে লাল বাঁতি