জোর করে ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা আ’লীগের নেই : কাদের

জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতা ধরে রাখার কোনো অভিপ্রায় আওয়ামী লীগের নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটউশনে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপকমিটির ওয়েবসাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নেত্রীতো বলেই দিয়েছেন, জনগণ ভোট দিলে ক্ষমতায় থাকব, না দিলে নয়। জোর করে ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা আওয়ামী লীগের নাই।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের আস্থা আছে। আমরা জনগণের শক্তিতে ভরসা রাখি।

ক্ষমতায় আসার জন্য দেশের জনগণের আস্থা হারিয়ে বিএনপি এখন জাতিসংঘে গিয়ে কান্নাকাটি করছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, দেউলিয়াপনার পরাকাষ্ঠা যখন কোনো রাজনৈতিক দল প্রদর্শন করে, দেশকে ছোট করে জনগণের আস্থা হারিয়ে জাতিসংঘে গিয়ে কান্নাকাটি করে আসছে।

‘আজকে বিএনপি কত দেউলিয়া দল, কথায় কথায় নালিশ করে বিদেশে। দেশের জনগণের কাছে তো নালিশ করছেই। নালিশ সত্য হলে জনগণ আপনাদের ভোট দেবে, আমাদের নয়।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ ভোট না দিলে কোনো বিদেশি প্রভু বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রকাশিত বইয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি নেই- এমন এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এটি আমি জানি না। জেনে মন্তব্য করব।

তবে আমাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠক আছে। সেখানে নেত্রী কথা বলবেন। সেখানে হয়ত এটি আলোচনা হবে বলে জানান সেতুমন্ত্রী।

সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপি দেশের অর্জনে কোনো গর্ববোধ করে না। শেখ হাসিনার স্বপ্ন নেক্সট জেনারেশন, আর বিএনপির স্বপ্ন নেক্সট ইলেকশান।

‘এরা ক্ষমতা ছাড়া আর কিছুই বুঝে না। বিএনপি নামক দলটি ও তার দোসররা ক্ষমতাকেন্দ্রীক রাজনীতি করে,’ যোগ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

এসময় ফেসবুকের খারাপ দিক মোকাবেলা করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, আমরা যদি মনে করি, ফেসবুক বন্ধ করলে সব ঠিক হয়ে যাবে, সেটা ঠিক নয়। এটার ভালো এবং খারাপ- দুটো দিকই আছে। খারাপ দিকটার মোকাবেলা করতে হবে। তথ্য সৃষ্টি ও বন্টন করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি দুটো আন্দোলনে (কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক) যে অপপ্রচার হয়েছে, সে অপপ্রচারের মুখে আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি যথাযথভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছি; সাইবার এটাকের কাউন্টার করতে পারিনি।

‘এই অভিজ্ঞতা থেকে বিজ্ঞান প্রযুক্তি উপকমিটি যে উদ্যোগ নিয়েছে, সামনে যেন এই গ্যাপগুলো পূরণ হয়, খেয়াল রাখতে হবে।’

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মো. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন বক্তব্য দেন।