ট্রেন থেকে পড়ে এমপি আহত, স্টেশন মাস্টার বরখাস্ত

সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ তানভীর ইমাম স্ত্রীকে ট্রেনে তুলে দিতে গিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে পা পিছলে আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় তার সমর্থকেরা উল্লাপাড়া রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আব্দুল বাতেনকে তার রুমে গিয়ে মারধর করেন। পরে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে স্টেশন মাস্টারকে সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ।

এদিকে রেলওয়ে কর্মকর্তা অসীম কুমার জানান, আন্তঃনগর ট্রেনে যাত্রী ওঠানামার সময় তিন মিনিট হলেও এমপি সাহেবের কারণে সাড়ে চার মিনিট সময় দেওয়া হয়। তারপর সহকারী স্টেশন মাস্টার আব্দুল বাতেন ক্লিয়ারেন্স দিলে এমপি সাহেব আকস্মিকভাবে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। বাতেন নির্দোষ ছিলেন। তাকে অহেতুক মারধর করেছে এমপির লোকজন। আহতাবস্থায় বাতেন পাকশী রেলওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্টেশন মাস্টার শামছুল আলম জানান, গত সোমবার বিকালে ট্রেন থেকে নামার সময় পা পিছলে পড়ে এমপি সাহেব সামান্য আহত হয়েছেন। আর আমি কী অপরাধ করলাম যে আমাকে বরখাস্ত করা হলো। আমি তো এমপির সাথেই ছিলাম।

পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) অসীম কুমার তালুকদার বুধবার রাতে জানান, সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম স্ত্রীকে তুলে দিয়ে ট্রেন থেকে নেমে যাবেন, সহকারী স্টেশন মাস্টার আব্দুল বাতেন তা জানতেন না বলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শামছুল আলম দায়িত্বে তার কিছুটা অবহেলা প্রতীয়মান হওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এব্যাপারে এমপি তানভীর ইমাম জানান, স্টেশন মাস্টারদের নির্বুদ্ধিতার কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। সাধারণত এ স্টেশনে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট দেরি করে ট্রেন। কিন্তু মাত্র চার মিনিট পর ট্রেনটি ছেড়ে দেয়। আমি নামতে গিয়ে পড়ে যাই। স্টেশন মাস্টারের কক্ষে নিয়ে তারা আমার ক্ষতস্থান ড্রেসিং করা হয়।

সহকারী স্টেশন মাস্টারকে মারধরের ব্যাপারে এমপি বলেন, মারধর তো দূরের কথা কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনাই ঘটেনি। আমি চলে আসার সময় বিষয়টি তদন্ত করে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে রেল কর্তৃপক্ষকে জানাব বলে তাদের ভয় দেখাই।

এই ঘটনায় দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তাদের আগামী রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।