ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মানুষের কাছে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ সেনা সদস্য খাজির উদ্দীন

“মানুষ মানুষের জন্য” এ কথাটির মর্মার্থ বুঝতে হলে মিশতে হবে একজন যুবকের সাথে। একনিষ্ঠ সমাজকর্মী মানবতার ফেরিওয়ালা তিনি নিজেই। এই মানতবতার ফেরিওয়ালা হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়নের বানুয়াপাড়া গ্রামের এক কৃষক পরিবারের সন্তান সমাজসেবক, তরুণ উদ্যোক্তা ও বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সদস্য খাজির উদ্দীন হাসান।
সমাজসেবামূলক কাজে জড়িয়ে অল্প দিনের মধ্যে জনগণের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন এই যুবক। সামাজিক দিক থেকে সকলের প্রিয় মানুষ তিনি। মানুষের হিয়ার মাঝে অধিকার পৌছে দেয়াই তার বাসনা, মুখে থাকে তার মন ভাল করে দেয়া হাসি। সদা প্রাণোবন্ত হাস্যোজ্জ্বল মানুষ তিনি। হাসি ছাড়া কথা বলেন না কারো সাথে। ঘুম থেকে উঠে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত পরোপকারে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন এই মানবিক মানুষ। স্বপ্ন তার অসহায় মানুষদের নিয়ে কাজ করার। তিনি সবসময় অসহায় অবহেলিত মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকেন। শুধু তাই নয় যে কোনো সামাজিক সমস্যায় তাকে পাশে পাওয়া যায়।
করোনা কালে তিনি মানবতার পরিচয় দিয়েছেন। অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন। সম্প্রতি পীরগঞ্জ উপজেলার ৮ নং দৌলতপুর ও ১১ নং বৈরচুনা ইউনিয়নের অসহায় এক বৃদ্ধ ভিক্ষুকের ঘর নির্মাণ করে দিয়ে মানবতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। যা সমাজের মানুষের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি নিঃস্বার্থ ভাবে গরিব মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন । একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মানে কাজ করছে। নিজ অর্থায়নে মসজিদ, মন্দির, ধর্মিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে সহায়তা করা সহ যুবকদের মাদক থেকে দূরে রাখতে বিতরণ করছেন খেলা সামগ্রী, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অসহায় ব্যাক্তিদের সু-প্রিয় পানি পান করার জন টিউবয়েল স্থাপন করে দিয়েছেন, তিনি করোনা কালে খাদ্য সামগ্রী সহায়তা ঈদের সেমাই চিনি বিতরণ,শীতের সময় শীত বস্ত্র সহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
সেনা সদস্য খাজির উদ্দীন হাসান বলেন, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনবিধান। ইসলামের সাথে চলতে হলে ইসলামে দেখানো প্রতিটি বিষয় মেনে চলতে হয়। মানবসেবার জন্য মসজিদ-মাদ্রাসা, রাস্তাঘাট ও বাঁধ নির্মাণসহ নানা জনকল্যাণ মুলক কাজ করাও বিশেষ সাওয়াবের কাজ।
একটি সুন্দর কাজ সম্পাদন করতে দরকার ভালো মানসিকতার। মানুষের সেবা করেই আমি আত্মতৃপ্তি পাই। অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে আমার আত্মতৃপ্তি। মানুষের উপকার করতে পারলে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই নিজেকে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত রেখেছি। এটা আমি আমার কর্মময় জীবনের ছুটির ফাকেঁ বানুয়াপাড়া আদর্শ মানব কল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে করে থাকি যার প্রতিষ্ঠাতা আমি। এভাবেই সারাজীবন মানুষের সেবা করে পাশে থাকতে চাই।