ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২০টি ঘর রাতারাতি উধাও

কয়েকদিন আগে একসাথে অনেকগুলো ঘর থাকলেও সেটি এখন পরিণত হয়েছে আবাদি জমিতে। চাষ করা হচ্ছে গো-খাদ্যের জন্য বিভিন্ন জাতের ঘাষ ও শাক-সবজি। পাশে ঘেঁষা দুটি ঘরে করা হয়েছে খামার। লালন পালন করা হচ্ছে গরু, ছাগল, মুরগি ও কবুতর।

আর সরকারের দেওয়া ২০টি টিনের আবাসন প্রকল্পের ঘরগুলোর যাবতীয় মালামাল বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হিজরা নেতা রুবীর বিরুদ্ধে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের কহরপাড়ায় হিজরা জনগোষ্ঠীরদের জীবনমান উন্নয়নে ২০টি হিজরাকে ‘উত্তরণ’ গুচ্ছগ্রামের মাধ্যমে পূর্ণবাসন করা হয়। প্রত্যেক হিজরাকে দেওয়া হয় একটি করে টিনের ঘর। পরবর্তীতে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে দেওয়া হয় আরও ১০টি পাকা ঘর। প্রত্যেকটি ঘরে হিজরাদের বসবাস করার কথা থাকলেও থাকেন না তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অন্য হিজরারা বিভিন্ন জায়গায় থাকলেও পাশে উঠানো তিনতলা বিশিষ্ট বাড়িতে থাকেন হিজরা নেতা রুবী। বাকি আরও মুজিববর্ষের দেওয়া ১০টি পাকা সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে থাকেন বাইরে থেকে আসা সাধারণ মানুষ। খামারের কাজ করে দেওয়ার শর্তে রুবী ঘর দিয়েছেন তাদেরকে এমটি জানান তারা। অপরদিকে ২০টি টিনের ঘর এখন আর নেই।

এলাকাবাসী জানান, শুরু থেকে সেখানে সব ঘরগুলো দেখে আসছি। কয়েকদিন আগে রাতের আঁধারে ট্রাকে করে ঘর ভেঙে সব মালামাল নিয়ে গেছে। আর সেখানে গেলে তারা আমাদের সাথে উদ্ভট আর খারাপ আচরণ করে। তাই আমরা সেদিকে যাই না আর তাদের বিষয়ে কিছু বলতেও চাই না। এ বিষয়ে হিজরা নেতা রুবীর সাথে কয়েক দফায় কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি রাজি হননি। নারগুন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেরেকুল ইসলাম বলেন, লোকমুখে বিষয়টি আমি শুনেছি। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আসলেই ঘরগুলো নেই। কে বা কাহারা সেগুলো বিক্রি করে দিয়েছে। তাৎক্ষণীকভাবে আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা রাখছি, তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. শামসুজ্জামান বলেন, বিষয়টি শোনার পরপর আমি সেখানে যাই। এর আগে যে টিনের ২০টি ঘর ছিল তা আর নেই। দুটি ঘরে গরু ছাগল পালন করা হয়। সরকারি সম্পত্তি গোপনে বিক্রি করে গায়েব করে দেওয়া আইনের ব্যত্তয়। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।