দলছুট নেতাদের টেবিলে খালেদা

নবম রোজায় দেশের অভিজাত কনভেনশন সেন্টারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে ইফতার করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বিএনপি নেতাদের বাইরেও শরিক দল ছাড়াও তাদের রাজনৈতিক মিত্রদের উপস্থিতি ছিল অনুষ্ঠানে।

সোমবার রাজধানীর বিশ্ব রোড সংলগ্ন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে চমকও সৃষ্টি করলেন খালেদা জিয়া। বিএনপির সঙ্গে যাদের জোট করার কথা ছিল বিশেষ করে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ ত্যাগীদের মধ্যে দলছুট নেতাদের টেবিলে বসেছিলেন তিনি।

ইফতারের কিছুক্ষণ আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নবরাত্রি হলে প্রবেশ করেই বিএনপি চেয়ারপার্সন দলছুট নেতাদের টেবিলের কাছে যান। তাদের পাশে বসেন। মিনিট দশেকের মতো তাদের সঙ্গে আলাপও করেন খালেদা জিয়া।

তবে তাদের কথা-বার্তা নেতাকর্মীদের ভিড়ে বাইরে কেউ শুনতে পাননি। গণমাধ্যমকর্মীরাও শুনতে পারেননি তা।

খালেদা জিয়া টেবিলটিতে বসেই প্রথমে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় দু`জনেই মিনিট দুয়েক কথা বলেন। এরপর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও মিসেস রবের খোঁজ-খবর নেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।

টেবিলে অবস্থানরত লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল ড. অলি অাহমদের সঙ্গেও আলাপ করেন তিনি। এমন আলাপের খানিক পরেই বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এসে আলাপে যোগ দেন আলাপে। এরপর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার আলাপে যুক্ত হলে অন্যরকম এক আবহের সৃষ্টি হয় সেখানে।

খালেদার জিয়ার এমন আলাপে পাশেই চেয়ারে বসেছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর চেয়ারে বসা খালেদার পেছনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানসহ দলের নেতাকর্মীরা যান তাদের পাশে।

আলাপ শেষে মূল মঞ্চে উঠে আগেই অবস্থানরত জোটের শরিক নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে নিজ আসনে বসেন খালেদা জিয়া। এসময় রাজধানীর যানজট অতিক্রম করে বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে ইফতারে অংশ নেয়ায় রাজনৈতিক দলের নেতাদের ধন্যবাদ জানান বিএনপি চেয়ারপার্সন।