দীর্ঘবিরতির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় গাইবান্ধায় উৎসবের আমেজ

করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে টানা ১৭ মাস ২৬ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর রবিবার গাইবান্ধার সব স্কুল ও কলেজ খুলেছে। এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে উৎসবের আমেজ। ইউনিফর্ম পড়ে, কাঁধে বই-খাতার ব্যাগ ঝুলিয়ে সারি সারি শিক্ষার্থীরা আবারো ফিরেছে তাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে। শিক্ষার্থীদের কলরবে মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রিয় শিক্ষাপ্রাঙ্গন। করোনার ভয়াল থাবার মধ্যেই চিরচেনা রূপে ফিরেছে স্কুল ও কলেজগুলো। প্রিয় ক্যাম্পাসে ফিরতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা। প্রিয় শিক্ষক-প্রিয় বন্ধু-সহপাঠীদের পেয়ে কিছুতেই থামছে না আনন্দের উচ্ছাস। অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা নতুন ভর্তি হয়েছে, তাদের জন্য আজই হবে স্কুল-কলেজের প্রথম দিন।

এবিষয়ে আহম্মদ উদ্দিন শাহ্ শিশু নিকেতন স্কুল ও কলেজের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইসফার মুশফিরাত ইকবাল ছোঁয়া জানান, দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের খুবই ভালো লাগছে।

গাইবান্ধা সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসফিয়া তাসনীম হৃদিতা জানান, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী মানসিক বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছিলো। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় এখন সেই চিরচেনা রূপ দেখে সবাই অনেক আনন্দিত।

ওই কলেজের আরও একজন শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার অর্পিতা জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কিন্তু স্কুল কলেজ খুলে দেয়ায় আমরা আবারও আমাদের লেখাপড়ায় মনোযোগ দিতে পারবো। আমরা খুবই উচ্ছ্বাসিত।

এনিয়ে গাইবান্ধা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবদুল কাদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য ১৯ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল তার আলোকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। আজ স্কুল-কলেজ খুললেও সব শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল ও কলেজে এসেছে। সকল শিক্ষার্থীরা মাস্ক পরে স্কুলে ও কলেজে এসেছে।

উল্লেখ্য, দেশে করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ই মার্চ। করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সে বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকলেও অনলাইনে ক্লাস চালু করা হয়েছিল।