দেশের নদীগুলোকে দুষণমুক্ত করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নাই : নৌপ্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে নদী-নালা, খাল-বিলকে রক্ষা করতে হবে। নদীকে রক্ষা করতে হলে প্রথমে নদীকে দূষণ থেকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নাই।

রোববার (১৯ জুন) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আয়োজিত ‘দূষণে বিপর্যস্ত ঢাকার নদ-নদী : সমস্যা ও সমাধান’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মোস্তফা কামাল, সেন্টার ফর গভর্ণেন্স স্টাডিজের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর জিল্লুর রহমান এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের উপপ্রধান (মরফোলজিস্ট) এম এম মহিউদ্দিন কবীর মাহিন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ চারটি নদীসহ অন্যান্য নদী রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী টাস্কফোর্স গঠন করেছেন। এছাড়া তিনি নদীগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে সেগুলো রক্ষায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠন করেছেন।

তিনি বলেন, নদী রক্ষায় গত ৫০ বছরে যত আইন বিধি বিধান তৈরি হয়েছে; তার সবগুলোই আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হয়েছে। বাকি ২৬ বছরে অন্যান্য সরকার এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর বিভিন্ন সরকারের সময়ে নদীগুলোকে রক্ষা, দখল-দূষণ থেকে বাঁচানো এবং পরিবেশ রক্ষায় কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। ১৩ বছর যাবত তিনি দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। এটি সরকারের ধারাবাহিকতার সুফল। ধারাবাহিক সরকারের সুফল কি? সেটা আমরা টের পাচ্ছি। আমরা বুঝতে পারছি।

তিনি বলেন, কিছু লোক সমালোচনার জন্য সমালোচনা করে। তাদের সমালোচনা যুক্তি নির্ভর নয়। প্রধানমন্ত্রী আমাদের চরম উচ্চতায় ও আত্মমর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছেন। তাঁর নেতৃত্ব তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে। দেশ পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী সাহস ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন। আগামীদিনে তাঁর সাহসী নেতৃত্বের কথা তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মানুষের মুখে উচ্চারিত হবে।