দেশে ১৩ কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ আবারো বাড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে সংক্রমণ নেই বললেই চলে। কিন্তু বিশ্ব পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে সংক্রমণ ফের বাড়ার শঙ্কা আছে। কারণ, ভারতে সংক্রমণ বাড়ছে, সেখানে অনেকেই যাতায়াত করছেন। তাদের নজরে রাখতে হবে। এ পযর্ন্ত ১৩ কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে।

রবিবার জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এবারের প্রতিপাদ্য সঠিক পুষ্টিতে সুস্থ জীবন। ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম চলবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রায় ১৩ কোটি মানুষ এখন টিকার আওতায়। যা বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও দিতে পারেনি। এখনো যারা টিকা নেয়নি, তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই নিচ্ছেন না।

গত ১০ বছরের স্বাস্থ্য বিভাগের অভূত উন্নতি হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, দেশ এগিয়ে যেতে হলে মানুষকে সুস্থ থাকতে হবে। এ জন্য পুষ্টি অপরিহার্য। আমাদের দেশে পুষ্টি সেবার অনেক উন্নতি হয়েছে। প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিয়েছে সরকার। সেখানে চিকিৎসার পাশাপাশি পুষ্টি নিয়ে সচেতন করা হয়। অতিরিক্ত তেল ও লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, শাক-সবজি ও ফলমূল খেতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা কী খাচ্ছি সেটা দেখতে হবে। সংক্রামক ব্যাধি যক্ষ্মা, পোলিও, ম্যালেরিয়া, এইডস নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অন্যদিকে অসংক্রামক রোগ যেগুলো মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সেগুলো বাড়ছে। আমাদের পরিমিত খেতে হবে। পুরো দেশে যখন করোনা ছড়িয়ে পড়ে, তখন ভিটামিন সি, ডি ও জিংক খেতে বলি। এতে করে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

জাহিদ মালেক বলেন, ক্যালরিতে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আমরা। এখনো ১০-১৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে, কিন্তু কেউ না খেয়ে থাকে না। খাদ্যের অভাব যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশের মানুষের খর্বাকৃতি আগে যেখানে ৫০ শতাংশ ছিল, সেটি এখন ত্রিশে নেমেছে। স্কুল ফিডিং জোরদারের চেষ্টা করছে সরকার। ছেলে-মেয়েদের পুষ্টি সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।

জাতীয় পুষ্টি সেবা কার্যক্রমের পরিচালক এস এম মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়োশনের (বিএমএ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা এহতেশামুল হক চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।