ধান কাটলেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার

সবার মাথায় ছিলো টোপা, হাতে কাস্তে। আর তারপরই তারা নেমে পড়লেন ধান কাটতে। কেউ কৃষক নন। তাই ভয় ছিল না জানি কি অঘটনই না ঘটিয়ে ফেলেন তারা। কিন্তু সব আশংকা উড়িয়ে দিয়ে গোছা গোছা ধান কেটে রীতিমতো চমক লাগিয়ে দিলেন সবাই।

বৃহস্পতিবার ধান কাটার উৎসবে এমনিই দৃশ্য অবলোকন করলেন নড়াইলবাসী।

নড়াইলের প্রথম নারী জেলা প্রশাসক আনজুমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ইয়ারুল ইসলাম কাস্তে হাতে কৃষকদের সঙ্গে ধান কাটার উৎসবে যোগ দেন। তাদের সাথে ছিলেন

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নড়াইলের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা সেলিম।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ধান কেটে বাঙ্গালীর প্রাণের নবান্ন উৎসবের উদ্বোধন করেন তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নড়াইলের আয়োজনে ধান কেটে নবান্ন উৎসব পালনের আয়োজন করা হয়।

এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।

আবহমান বাংলার কৃষকরা রোদের তাপ থেকে রক্ষা থেকে টোপা অতিথিদের পরিয়ে দিয়ে বাংলার কৃষক সাজানো হয়। কৃষকদের সাথে অতিথিবৃন্দ ধান কাটতে জমিতে নেমে পড়েন। কৃষকদের সঙ্গে ধান কেটে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

এসময় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল আলম বাচ্চুসহ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্যে উদ্বৃত্ত নড়াইল জেলায় এ বছর আমন মৌসুমে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে। সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষ হয়েছে ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ লক্ষমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ৪ হাজার হেক্টর জামিতে ধানের চাষ হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকরা জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবং পোকার আক্রমণ না থাকায় এবছর জেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবছর কৃষকরা বিনা-৭, ধানী গোল্ড, স্বর্না, গুটি স্বর্না, বাবু স্বর্না, বিআর-৩৯, বিআর-৪৯, নতুন জাতের ধান বিআর-৭১, বিআর-৭৫ সহ স্থানীয় বিভিন্ন জাতের ধানের চাষ করেছে।