নওগাঁয় উদ্ধার হওয়া লাশ বগুড়া বিএনপি নেতার!

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় গত শুক্রবার বিকেলে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহত ব্যক্তির নাম শাহ আলম ওরফে সুজাউদ্দীন (৭৫)। তাঁর বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাবালা গ্রামে। তিনি এক সময় শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন।

সুজাউদ্দীনের ভাতিজা ও ময়দানহাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এসএম রূপম হোসেন মুঠোফোনে জানান, গত ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার কাজের কথা বলে তাঁর চাচা বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর আর বাড়িতে ফিরে না আসায় অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়। তিন দিন পর ২৯ জানুয়ারি সুজাউদ্দীনের স্ত্রী জাহানারা বিবি বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ঘটনার প্রায় আট দিনের মাথায় রাণীনগর থানা পুলিশ মোবাইল ফোনে তাঁর লাশ পাওয়ার কথা জানান। খবর পেয়ে রাণীনগরে গিয়ে লাশ সনাক্ত করেন। আজ শনিবার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

এসএম রূপম হোসেন আরো জানান, তাঁর চাচা সুজাউদ্দীন ময়দানহাট্টা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকলেও প্রায় দুই বছর ধরে রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় ছিলেন না।

তবে কেউ সুজাউদ্দীনকে হত্যা করেছে বা কিভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে এ বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেননি রূপম হোসেন।

ময়দানহাট্টা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম মানিক জানান, শাহ আলম ওরফে সুজাউদ্দীন দীর্ঘ দিন ধরে ময়দানহাট্টা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি ওই এলাকার দাড়িদহ বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েরও সভাপতি ছিলেন। তিনি খুবই ভদ্র এবং সাদা-সিদে প্রকৃতির মানুষ ছিলেন।

এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম সিদ্দিকুর রহমান জানান, লাশের সাথে থাকা মোবাইল ফোন থেকে নম্বর নিয়ে শাহ আলম ওরফে সুজাউদ্দীনের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আজ শনিবার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হলেও এখনো পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

গত শুক্রবার দুপুরে রাণীনগর রেল গেটের দক্ষিণে রাস্তার পশ্চিম পাশে শিমুলতলী নামক স্থানে রাস্তার খাদে লাশ ভেসে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন স্থানীয় লোকজন। এরপর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।