নরসিংদীর রায়পুরা নারী চিকিৎসকের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিলো সাবেক স্বামী

নরসিংদীর রায়পুরায় সাবেক স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছেন এক ব্যক্তি। পরে নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে দেন তিনি। এতে দুইজনই দগ্ধ হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আগুনে দগ্ধ চিকিৎসক লতা আক্তার (২৭) নরসিংদী রায়পুরার মরজাল গ্রামের মফিজুর রহমানের মেয়ে। তিনি নারায়ণগঞ্জে একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত। দগ্ধ আরেকজন তার সাবেক স্বামী মো. খলিলুর রহমান। তার বাড়ি গাজীপুর।

লতার খালু মো. ফরহাদ হোসেন জানান, লতা বেশ কিছুদিন আগে শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে বের হয়। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। দুই বছর পূর্বে খলিলুর রহমান নামের এক ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পরে জানতে পারেন ওই ছেলে একজন ড্রাইভার।

পরে লতা আক্তার তার স্বামীকে ডিভোর্স দেয়। এটা মানতে পারেনি স্বামী খলিলুর রহমান। এরই জের ধরে খলিলুর রবিবার লতার গ্রামের বাড়ি আসে। ওই সময় একটি রমে দরজা লাগিয়ে তারা কথা বলছিলেন। হঠাৎ খলিলুর লতার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে তার নিজের শরীরেও আগুন লাগিয়ে দেয়।

ওই সময় তাদের চিৎকারে স্বজন ও আশেপাশের লোকজন এসে দ্রত তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দ্রত ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নরসিংদী রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফায়াত হোসেন পলাশ বলেন, প্রেম করে তারা দুইজন বিয়ে করেন। পরে ডিভোর্স হয়। এটা ছেলেটা মেনে নিতে পারেনি। এর মধ্যেই দুইজন আগুনে দগ্ধ হয়। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।