নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আত্মাবিশ্বাস বিএনপির নেই : প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আত্মাবিশ্বাস বিএনপির নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তাদের তো (বিএনপি) নেতৃত্বই নেই, ভোটে জিতবে কিভাবে।তারা জিততে পারবে না জেনেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।

সোমবার (৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, তাদের দলের একজন এতিমের টাকা খেয়ে কারাগারে। আরেক জন সাজাপ্রাপ্ত আসামী।তারা তো ভোটেই দাঁড়াতে পারবে না। তাদেরকে কারা ভোট দেবে।

এসময় সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা আমাকে বলেন, কারা, কী কারণে বিএনপিকে ভোট দেবে?

সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নে ‘এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’ দেশের জনগণকে উৎসর্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ যে অবিচলভাবে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে – এই পুরস্কার তারই বিশ্ব স্বীকৃতি। আমি আমার এই পুরস্কার দেশের জনগণকে উৎসর্গ করছি।

সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের এবারের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা ও এর স্থায়ী সমাধানের বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। যা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখবে।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারি শুরু হওয়ার প্রায় দুই বছর পর এবারই প্রথম আমি দেশের বাইরে সশরীরে কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান করি। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে আমার অত্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের মূল সভা ও সাইড ইভেন্ট মিলিয়ে আমি সর্বোমোট ১০টি সভা এবং ৮টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেই। ৭৬তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্ক পর্বের উদ্বোধনী দিনেও আমি যোগদান করি।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপটে প্রত্যাশাকে উপজীব্য করে এবারের অধিবেশনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল মহামারি থেকে টেকসই উত্তরণ। কোভিড-১৯ টিকার সর্বজনীন প্রাপ্যতা, সহজলভ্যতা ও মহামারি থেকে টেকসই পুনুরুদ্ধার স্বভাবতই আলোচনায় প্রধান্য পেয়েছে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, নারী ক্ষমতায়ন, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি, বর্ণবাদ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট তথা এসডিজি, পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ ইত্যাদি বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে এসেছে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ পরবর্তী এ সংবাদ সম্মেলন করছেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলায় ভাষণ দেন তিনি।

১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে তিনি বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ও রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেন এবং বিভিন্ন সরকার, রাষ্ট্র ও সংগঠনের প্রধানের সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন।

প্রায় দুই সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ১ অক্টোবর (শুক্রবার) দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। রাত ১১টা ১৩ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।