পঞ্চগড়ে সোনালী ব্যাংকের সামনে ৩ লক্ষ টাকা খোঁয়া গেলো শিক্ষকের

প্রতারণার অভিনব কায়দার সোনালী ব্যাংক পঞ্চগড় শাখার মূল ফটকের সামনে থেকে খোঁয়া গেল ৩ লক্ষ টাকা এক স্কুল শিক্ষকের।

সোমবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে জেলা শহরের সোনালী ব্যাংক লিমিটেড পঞ্চগড় শাখার মূল ফটকের সামনে টাকা চুরির ঘটনাটি ঘটে।

এদিকে খবর পেয়ে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করে ব্যাংক শাখায় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ বলেন, টাকা উদ্ধার সহ অপরাধীদের ধরতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।

ভুক্তভুগি ইয়াহিয়া খান পঞ্চগড় সদর উপজেলার আমলাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি পৌরসভার ধাক্কামারা পুরাতন পঞ্চগড় এলাকায় বসবাস করেন।

ঘটনা বিবরণীতে ইয়াহিয়া খান স্কুল শিক্ষক তিনি বলেন, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ধাক্কামারা শাখায় আমার তিন লক্ষ টাকা ঋণ ছিল। ওই ঋণের টাকা পরিশোধ সহ ব্যাক্তিগত কাজের জন্য তিনি সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে আট লক্ষ টাকা ঋণ নেই। এরই মধ্যে কয়েকদফায় আমি বেশ কিছু টাকা উত্তোলন করে থাকি। সোমবার সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে সোনালী ব্যাংক পঞ্চগড় শাখা ঋণের বাকি তিন লক্ষ টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকের সামনে মোটরসাইকেল রেখে ব্যাংকের ভিতরে প্রবেশ করি তার কিছুক্ষণ পরে আমি ব্যাংক থেকে সমদয় টাকা উত্তোলন করে বের হলে এক অপরিচিত ব্যাক্তি আমাকে বলেন আপনার পেন্টের পকেট থেকে টাকা পরে গেছে এ সময় ওই ব্যাক্তিকে জানাই যে আমার টাকা পরে নাই। পরেই অপর এক বয়স্ক ব্যাক্তি এসে জানায় তার কিছু টাকা পরে গেছে। পরে টাকা গুলো তুলতে আমাকে একটু সাহায্য করুন বললে আমার টাকার বেগটি মোটর সাইকেলের হ্যান্ডলে রেখে ওই বয়স্ক লোকটির টাকা গুলো কুড়িয়ে তুলে দেয় পরবর্তিতে ফিরে এসে দেখি মোটর সাইকেলের হেন্ডেলে রাখা টাকার ব্যাগটি আর নেই। কে বা কারা নিয়ে গেল।

এসময় পুলিশের সাথে আমি সিসিক্যামেরা ফুটেজে দেখতে ম্যানেজার রুমে যাই ফুটেজে দেখে তাদেরকে চিনতে পারিনি। এই সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ইতিপূর্বেও এ ধরণের ঘঁনা ঘটেছে। দূর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অপরাধীরা বারবার অপরাধ করার সুযোগ পাচ্ছে। আমি এ ঘঁনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে টাকা উদ্ধার সহ দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবী করছি।

এদিকে পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংক শাখা ম্যানেজার রেজাউল করিম তিনি জানান, সকালে ইয়াহিয়া খান নামে এক ব্যাক্তি ব্যাংকে টাকা তুলতে আসেন। পরে টাকা উত্তোলন করে ব্যাংকের বাইরে তার তিন লক্ষ টাকা কেবা কারা ধোঁকা দিয়ে নিয়ে গেছে বলে তৎক্ষাণিক তিনি আমাকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে গেছে তারা এখন উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।

এব্যাপারে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বেনজির আহমেদ জানান, ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সিসি ফুটেজে বেশ কয়েজজন লোককে দেখা গেছে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে দীর্ঘক্ষণ ধরে ব্যাংকের সামনে এবং ভেতরে অবস্থান করছিল। এই সময় তারা কয়েকজন মিলে ওই শিক্ষককে ফলো করছিল। তারাই এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি চক্র কাজ করতে পারে। আমরা ইতিমধ্যে ফুটেজ পার্শ্ববর্তি জেলা ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর সহ বেশ কিছু থানায় পাঠিয়েছি। অপরাধীদের সনাক্ত করে ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।