নিষিদ্ধ হলেন নেইমার

গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, ৭ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন ফ্রেঞ্চ ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র। তা হয়নি। নিষিদ্ধ ঠিকই হয়েছেন, তবে দুই ম্যাচের জন্য। পিএসজির হয়ে দুইটি ম্যাচ ডাগআউটে বসেই কাটাতে হবে তাকে।

গত রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) পিএসজি ও মার্শেইয়ের মধ্যকার ম্যাচটি মাঠের খেলার চেয়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের উগ্র মেজাজ ও অনাকাঙ্ক্ষিত সব ফাউলের জন্য আলোচিত হয়ে আছে। ম্যাচের একদম শেষদিকে ছাড়িয়ে যায় সব মাত্রা। রীতিমতো মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়রা।

পুরো ম্যাচে ১২ হলুদ কার্ড ও ৫ কার্ড দেখাতে হয় রেফারিকে। লাল কার্ডের সবগুলোই শেষের মারামারির কারণে। পিএসজির ল্যাভিন কুরযাওয়া, নেইমার জুনিয়র এবং লেওনার্দো পারেদেস ও মার্শেইর দারিও বেনদেত্তো এবং জর্ডান অ্যামেভিকে দেখানো হয় লাল কার্ড।

ফলে জানাই ছিল যে, এই পাঁচ খেলোয়াড় অন্তত এক ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকবেন। কিন্তু মারামারির সঙ্গে যুক্ত থাকায় বেড়েছে শাস্তি। সবচেয়ে কম এক ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকছেন বেনদেত্তো। এছাড়া দুই ম্যাচ করে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন নেইমার ও পারেদেস। সবচেয়ে বেশি ছয় ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন কুরযাওয়া, অ্যামেভির শাস্তি হয়েছে তিন ম্যাচের।

সেই ম্যাচের পর নেইমার জানিয়েছিলেন, তাকে বর্ণবাদী গালি দিয়েছেন মার্শেই খেলোয়াড় আলভারো গঞ্জালেজ। তার অভিযোগ আমলে নিয়েছে লিগ ওয়ান কর্তৃপক্ষ। এখন চলছে অনুসন্ধান। যেখানে দোষী প্রমাণিত হলে বড় শাস্তিই পেতে হবে মার্শেই ডিফেন্ডারকে।

এদিকে পিএসজিতে যোগ দেয়ার পর হেকে একের পর এক ঝামেলা লেগেই আছে নেইমারের সঙ্গে। গত বছর চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায়ের পর ম্যাচ অফিশিয়ালের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করে ৩ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। কয়েক মাস পর গ্যালারির সমর্থকদের গালি দিয়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ৩ ম্যাচ। এছাড়া ২০১৭ সালে মার্শেইয়ের বিপক্ষেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছিলেন পিএসজি তারকা।