‘নেইমারকে দেখে কখনও কেঁদে ফেলি, কখনও হেসে ফেলি’

দারুণ ছন্দে ফিরছে সাম্বার দেশ ব্রাজিল। গত পরশু দ্বিতীয় রাউন্ডে মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়ে ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে। জয়ের নায়ক নেইমার। নিজে গোল করেছেন। গোল করিয়েছেন ফিরমিনোকে দিয়ে। মেসি-রোনালদো যেটা পারেননি, সেটাই করছেন নেইমার। গোটা দুনিয়া এখন নেইমারে মুগ্ধ।

ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের নিয়ে সাধারণত একটু কমই প্রশংসা করতে অভ্যস্ত দিয়েগো ম্যারাডোনা। কিন্তু নেইমার যেভাবে খেলছেন তাতে মুখ বুজে বসে থাকতে পারেননি আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। বলেছেন, ‘নেইমারকে দেখে আমার কখনও কান্না পেয়ে যায়, কখনও আবার হেসে ফেলি। গতম্যাচে ও যখন যন্ত্রণায় ছটফট করছিল, তখন খুব খারাপ লাগছিল। ভয় হচ্ছিল, বিশ্বকাপ থেকে না ছেলেটা ছিটকে যায়। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই দেখছি ও বিপক্ষ দলের ডিফেন্স চিরে গোল করার জন্য দৌড়াচ্ছে। ব্রাজিলের খেলা দেখে মনে হচ্ছে ওরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতোই খেলছে। কোচ তিতে দলকে খুব ভালো পরিচালনা করছে। কত ভালো প্রশিক্ষণ দিয়েছে সেটা নেইমারদের ছন্দময় ফুটবল দেখেই বোঝা যাচ্ছে।’

রাশিয়া বিশ্বকাপে কে হবে সেরা? সেই লড়াইয়ে শুরুতে মেসি, রোনালদো থেকে অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন নেইমার। কিন্তু প্রথম দু’জন হেরে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। শেষ ষোলোর হিসাবেই নেইমার অনেকটাই এগিয়ে মেসি, রোনালদোর চেয়ে।

পারফরম্যান্সের দিক থেকেও তিনি মেসি, রোনালদোদের অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছেন। বেশ কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরলেই ছবিটা স্পষ্ট হবে। প্রতিপক্ষের রক্ষণে সবচেয়ে বেশি শট মেরেছেন নেইমার (২৩)। ১২টি শট তাঁর লক্ষ্যে বা অন টার্গেট। ব্রাজিলের চারটি ম্যাচে নেইমার খেলেছেন দলের জন্য, সতীর্থদের জন্য। প্রমাণ চাই? গ্যাব্রিয়েল হেসাস, কুতিনহোদের সবচেয়ে বেশি গোলের বল (১৬) বাড়িয়েছেন নেইমার। সবচেয়ে বেশি ফাউলের (২৬) শিকার হয়েছে নেইমারই। এখনও পর্যন্ত এবারের বিশ্বকাপে ৩৫বার সফল ড্রিবলিং করেছেন নেইমার। তবে ব্রাজিলের পরের লড়াই বেশ কঠিন। প্রতিপক্ষ বেলজিয়াম। এই ম্যাচে নেইমার ও তার দল কেমন করে সেটা দেখার অপেক্ষায় সবাই।