নেত্রকোনার মদনে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ তালিকা নাম থাকার পরও মিলছেনা গুচছ গ্রামে শিরিনের ঘর

নেত্রকোণা মদন উপজেলা ফতেপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের মৃত তাহের উদ্দিনের মেয়ে হতদরিদ্র শিরিনের তালিকায় নাম থাকার পরও মিলছেনা গুচ্ছ গ্রামের ঘর।

ফতেপুর ইউপি সদস্য মোঃ বকুল মিয়া গত সোমবার (২১ আগস্ট) উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিকট এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন যে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ২য় পর্যায়ে, ২০২০-২১ অর্থ বছরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবাষির্কী উপলক্ষ্যে অসহায় হতদরিদ্র মানুষের জন্য খাস জমিতে ঘর তৈরি করে গরীব মানুষের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হয়। এই তালিকায় শিরিনের নাম ২২নাম্বারে থাকলেও তার নামে ঘর বরাদ্দ না দিয়ে, ধনী লোকদের নামে ঘর বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে জানা যায়, একই ইউনিয়নের লাছাকান্দা গ্রামের হানজু মিযা তাঁর স্ত্রী নামে ও ফুফু নামে একাধিক ঘর বরাদ্দ নেয় টাকার বিনিময়ে, নিজ ক্ষমতা বলে গুচ্ছ গ্রামে আধা পাকা ঘর তৈরি করে মনোহারী দোকান দিয়ে রাজ হালে বসবাস করছে হানজুমিযা।

হানজু মিযার স্ত্রী জানান,আমার নামে ও খালার নামে ২ টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, বর্তমানে খালা বাড়িতে থাকেন তাই খালার ঘরে আমরা বসবাস করি।

হানজু মিয়া বলেন,আমার নামে কোন ঘর বরাদ্দ নেই,আমার স্ত্রীও মুমিনা খালা শাশুড়ির নামে ঘর বরাদ্দ আছে। দোকান ঘর নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম চৌধুরী নিকট হতে অনুমতি নিয়ে দোকান ঘর তৈরি করে ব্যবসা করছি। তবে, লিখিত কোনো কাগজ-পত্র দেখাতে পারেনি।

হতদরিদ্র শিরিন বলেন, বিগত ২০২০-২১ অর্থ বছরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট আমার সকল কাগজ জমা দেই। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমি কোন ঘর পাইনি। গুচ্ছ গ্রামেই অন্য একজনের আশ্রয়ে বসবাস করছি।

কান্না জড়িত কন্ঠে আক্ষেপ করে তিনি আরো বলেন, আমার এই দুনিয়াতে কেউ নেই।আপনাদের মাধ্যমে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কাছে অনুরোধ, ৬০ উর্ধ্বে বয়স আমার। আমি যেনো এই গুচ্ছ গ্রামে স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে পারি।

ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সামিউল হায়দার শফি
জানান, যদি কোন ধনী লোক ঘর বরাদ্দ নিয়ে থাকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম মিয়া বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি করা গঠন হয়েছে। ৬০ উর্ধ্ব বয়সী শিরিনকে গুচ্ছ গ্রামে ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।