নড়াইলের মধুমতি নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন!

নড়াইলের বকজুড়ি ঘাট নামক মধুমতি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বকজুড়ি ঘাট এপার ওপার থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট এর ইন্দন দাতারা হলো ১ মোঃ এরোন মোল্ল্যা, গ্রাম কেষ্টপুর থানা লোহাগড়া -জেলা নড়াইল ২ মোঃ মান্নান সদ্দার, গ্রাম আমডাঙ্গা থানা লোহাগড়া-জেলা নড়াইল। ৩ মোঃ কেরামত মোল্ল্যা,গ্রাম পানাইল থানা আলফাডাঙ্গা -জেলা ফরিদপুর দের নির্দেশে দিনে রাতে অবাধে বালু উত্তোলন করছে একটি সিন্ডিকেট।

এই অবৈধভাবে বালু কাটার বিষয়ে নদীর পাড়ে বসবাসকারী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্ষমতার বলে এরোন মোল্লা, মান্নান সদ্দার, ও কেয়ামত মোল্লার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন যাবত এই বালু উত্তোলন চলছে।
এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নৌকার মাঝি এবং স্থানীয় কিছু লোক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কয়েকবার অবৈধ বালি কাটা বাধা দিয়েছি, তখন এই মহলটি আমাদের বিভিন্ন কথা বলে এবং ম্যাসিন এক জায়গা থেকে তুলে অন্য জায়গা নিয়ে বালি কাটে।

ওই নৌকার মাঝি আরো বলেন, এই মহল যেভাবে বালি কাটতেছেন এতে আরও নদী ভাঙ্গন বেড়ে গেছে অামরা নিরীহ মানুষ কি করবো। আপনারা সাংবাদিকরা এসেছেন আপনারা এই অবৈধ বালু কাটা বন্ধ করে দিন।

এ সময় বালু উত্তোলনকারী ১নং এরোন মোল্ল্যার সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি চর কিনেছি, তখন এরোন মোল্ল্যার কাছে চর কেনার কাগজ দেখতে চাইলে তিনি তাল বাহানা দেখিয়ে বিভিন্ন নেতার নাম বলে এড়িয়ে যাই।

এরপর ২ নং মান্নান মোল্ল্যার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে চর কিনেছি, তখন তাকে বলা হয় চর থেকে বালি না কেটে আপনারা কেনো অন্য জায়গা থেকে বালি কাটতেছেন। তখন তিনি চেয়ারম্যানের দোহাই দিয়ে এড়িয়ে যাই। এবং সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।

এরপর সাংবাদিকের পরিচয় গোপন রেখে বালু কেনার কথা হয় ৩ নং কেরামত মোল্ল্যার সাথে তিনি বলেন আমি ড্রেজার মালিক এবং ওদের পাটনার অামরা নদীর যেকোনো জায়গা থেকে বালি কাটি আপনার বালি লাগবে নাকি।

এনিয়ে মুঠোফোনে লোহাগড়া উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার রাখি ব্যানার্জির সাথে কথা হলে তিনি বলেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।