পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আসামির মুক্তির দাবীতে থানা ঘেরাও, পুলিশসহ আহত-১৭

পটুয়াখালীর মহিপুরে এজাহার ভুক্ত আসামির মুক্তির দাবীতে থানা ঘেরাও করে পরাজিত এক মেম্বর প্রার্থীর সমর্থকরা। এসময় বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের হামলায় ৪ পুলিশ সদস্য ও পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ১৩ সমর্থক আহত হয়।

শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে মহিপুর থানার সম্মুখ্যে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় ওই এলাকার কবির মোল্লার স্ত্রী শিউলী বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার বেশ কয়েক জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ২নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বর প্রার্থী জলিল ঘরামীর ভাই ১নং এজাহার ভুক্ত আসামী খলিল ঘরামীকে এদিন তিনটার দিকে আটক করা হয়। পুলিশ খলিলকে গ্রেফতারের পর জলিল তার প্রায় ৪ শতাধিক সমর্থকদের নিয়ে থানা ঘেরাও করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে এসআই হালিম, কনস্টেবল ওবাইদুল ও মিলনসহ এক নারী পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে মেম্বার প্রার্থী জলিলকে আটক করা হয়।

এদিকে আটক জলিলের ভাই রহিম ঘরামীর অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন সময়ে তার ভাইয়ের নারী সমর্থকসহ একাধিক সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে বিজয়ী মেম্বর প্রার্থী আবুল কোম্পানির লোকজন। ওই সময় তাদের আটক করেনি পুলিশ। উল্টো মিথ্যা অভিযোগে তার ভাইকে পুলিশ আটক করায় থানার সম্মুখ্যে খলিল ঘরামির মুক্তির দাবী জানিয়ে ছিলেন সমর্থকরা। এসময় পুলিশের অতর্কিত হামলায় অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। এদের মধ্যে দুলাল হাওলদার, রাজা বেপারী ও রাজু কাজীসহ ৮ জনকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিমে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চলাকালীন সময়ে প্রার্থীদের দায়েরকৃত অভিযোগ গুলো আমরা তদন্ত করেছি এবং ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। নির্বাচনের দিন মেম্বার প্রার্থী জলিল লোকজন নিয়ে সেন্টারে গন্ডগোল সৃষ্টি করেছে। আর শুক্রবার এজাহার ভুক্ত আসামীকে ছিনিয়ে নিতে এসে আমার ৪ পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে। এর মধ্যে এস আই হালিম কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এবং পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।