পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারী পুকুরের মাছ পেল আবাসন পল্লীর বাসীন্দরা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আশ্রয়ন কেন্দ্রের বাসীন্দাদের মাঝে সরকারী পুকুরের মাছ সমহারে বন্টন করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে চাকামইয়া ইউপির গামরবুনিয়া আশ্রয়ন কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে এসব মাছ বন্টন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুবকর সিদ্দিকী। এসময় ওই আবাসনে বসবাসরত ৫২টি পরিবারের মাঝে সমহারে রুই,কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১০ মন মাছ বিতরণ করা হয়।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ নিয়ে মাছ ধরে বিতরণ করায় খুশির জোয়ারে ভাসছেন আশ্রয়ন পল্লীর বাসীন্দারা। তারা বলছেন, দীর্ঘ বছরে আশ্রায়ন কেন্দ্রের পুকুরের মাছ সমহারে কেউ বন্টন করেনি। আশ্রয়ন প্রকল্পের মধ্যে ৩ একর জমিতে খননকৃত পুকুরে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সরকারী বরাদ্দে মাছ চাষ করা হতো আবাসনবাসীর জন্য। তবে সরকারী পুকুরের অধিকাংশ মাছ ধরে নিয়ে যেত প্রভাবশালীরা। সর্বশেষ গত ২৬ রমজান চাকামাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর ফকিরের নেতৃত্বে এ পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এঘটনায় আবাসন কেন্দ্রের এক নারী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করে চেয়ারম্যানের ক্যাডাররা। এমন অভিযোগে কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। ভুক্তভোগী নারী কহিনুর বেগম জানান, চেয়ারম্যানে পুকুর থেকে সব মাছ ধরে নিয়ে গেছে। পরে ফের মাছ ধরার জন্য পুকুরের পানি নামিয়ে (সেচ করে) ফেলে। এতে আমাদের পানি ব্যবহার করতে অনেক বেকাদায় পড়তে হয়েছে। এর প্রতিবাদ করায় আমাকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।
তবে চাকামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।

কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুবকর সিদ্দীকি জানান, সরকারী নীতিমালানুযায়ী আশ্রয়নের সব কিছু ভোগ করবে প্রকল্পের বাসিন্দারা । কিন্তু বেশ কয়েকদিন আগে এই আবাসনের কহিনুর (৩৭) নামের এক নারীকে মারধর করা হয় এবং চেয়াম্যানের নেতৃত্বে মাছ ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এনিয়ে একটি মামলাও চলমান রয়েছে। পরে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় আজ মাছ ধরে আবাসন পল্লীর বাসিন্দারের মাঝে বিতরন করা হয়েছে।