পানি উন্নয়ন বোর্ড বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে প্রথমস্থান অর্জন

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন; বর্তমান সরকারের ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমরা দৃঢপ্রতিজ্ঞ । প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের দক্ষতা এবং দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চৃক্তি প্রবর্তন করা হয়েছে। মাসিক সভার অপেক্ষা না করে নিজ নিজ উদ্যোগে মাঠ পর্যায়ের কাজ তদারকি করে জানাবেন। কাজে দায়িত্বহীনতার প্রমান পেলে তার জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। যার যার দায়িত্বকে যথাযথভাবে পালন করতে হবে। সব কিছুই উর্ব্ধোতন পর্যায়ে তদারকি সম্ভবনা। দেশের উন্নয়নে আপনিও একজন অংশীদার এই মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।

সোমবার (২৭ জুন) রাজধানীর পানি ভবনের কনফারেন্স রুমে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২২-২৩ স্বাক্ষর ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২০-২১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ বলেন; প্রজাতন্ত্রের কাজে নিয়োজিত সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। সততা ও আন্তরিকতা আপনার সন্তানদেরকেও প্রভাবিত করে একথা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। যদিও পূর্বের তুলনায় কাজের মান এবং দায়িত্বশীলতার উন্নয়ন হয়েছে। এটাকে ধরে রেখে আরো কাজ বাড়াতে হবে দায়িত্ব বাড়াতে হবে। আপনাদের কর্মফলের জন্যই সকল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ৫৪তম অবস্থান থেকে ৪ নাম্বার অবস্থানে এসেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। এখন লক্ষ্য স্থির করতে হবে প্রথম বা দ্বীতিয় হবার। বাঁধে বৃক্ষরোপনের ব্যাপারে আরো বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে।

নিজের বিবেককে জাগ্রত করে ভবিষ্যৎ এ কর্মসম্পাদনকরতে হবে। আগামী বছর হতে সকল জোনের বার্ষিক কর্মসম্পাদন নাম্বার ৯০ হতে হবে। সবাইকে বিশ্বাস করতে চাই যে আপনারা চাইলে তা পারেন;বলেন প্রতিমন্ত্রী।

ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন; ভালো কাজের যেমন পুরুস্কার রয়েছে তেমনি খারাপ কাজের জন্য শাস্তি থাকতে হবে। আমাদের কর্মকালিন সময়ের কাজ যথাযথভাবে সমপন্ন করে যেতে চাই। যেখানে যার গাফিলতি পাওয়া যাবে সেখানেই তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় তিনি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের আবাসন ব্যবস্থার জন্য প্রকল্প গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন।

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা সালমা জাফরীন ও এস. এম. রেজাউল মোস্তফা কামাল; পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধিন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংস্থা পর্যায় ৯৪.০২ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড; জোন পর্যায় ৯৩.৪৭ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল,বাপাউবো,চট্টগ্রাম; সার্কেল পর্যায় ৯১.৯৫ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড;পওর বিভাগ পর্যায়ের অফিসেরমধ্যে ৯১.৮২ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে কক্সবাজার পওর বিভাগ;বিশেষ ক্যাটাগরিতে-প্রকল্প ৭৬.৮১ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে হাওর ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট এন্ড লাইভলিহুড ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট। প্রতিমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।