পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় এলজিইডি আইবিআরপি প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ বন্ধ, জনদুর্ভোগ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় এলজিইডি আইবিআরপি প্রকল্পের আওতায় গুলিশাখালী বাজার সংলগ্ন সাপলেজা জিসি – গুলিশাখালী জিসি ভায়া বান্ধবপাড়া সড়কের চেইঃ ৯৩১০ মিটারে ২১ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজের কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগে পড়েছে ১০ গ্রামের মানুষ।সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় জনগুরুত্বপূর্ণ এ উন্নয়নমূলক কাজে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।

স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় গ্রামীন জনপদের ব্রিজ, কালভার্ট-সেতু মেরামত ও উন্নয়ন (আইবিআরপি) প্রকল্পের গুলিশাখালী – কবুতরখালী গার্ডার ব্রিজটির কাজ নিয়মবহির্ভূতভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেওয়ার কথা থাকলেও নিরব ভূমিকা পালন করছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।

নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমান কাজ শেষ করে বিল ভাউচারের জন্য আবেদন করবেন ঠিকাদার।কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারের উপস্থিতি ছাড়াই রাজমিস্ত্রী দিয়ে কোন রকম একটু কাজ দার করিয়ে বাকি কাজ ফেলে রেখে বিলের জন্য ছুটে বেড়ায় ঠিকাদার।এতে সৃষ্ট জনদুর্ভোগে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়।

২০১৯ -২০ অর্থ বছরে শুরু হওয়া ২ কোটি টাকার এ কাজ চলাকালীন অস্হায়ী বিকল্প পথ তৈরি করার কথা থাকলেও যেনতেনভাবে দায়সারা একটি পথ তৈরি করে দেওয়া হয়। যে পথ দিয়ে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পড়ে পথচারীরা। তিন চাকার গাড়িতো দূরের কথা বাইসাইকেল নিতেও হিমশিম খেতে হয়।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার আবু আহসান মিলু জানান, প্রকল্প পরিচালকের অব্যবস্হাপনায় আর্থিক সংকটে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ মোঃ কাজী জসিম জানান, করোনা সংকটে ফান্ড না থাকায় ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না।তবে অর্থ সংকট সংক্রান্ত কোন চিঠি নেই।

অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নুরুল হুদা জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একনেকে এ ধরনের প্রকল্প অনুমোদন দেন।এক্ষেত্রে কোন আর্থিক সংকট আছে বলে মনে হয় না। এগুলো শুধুমাত্র ম্যানেজমেরিয়াল সংকট।সামাজিক নানা কারনে এ সংকট তৈরি হতে পারে।গ্রামে শহরের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করকে প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত।