পুরো সিরিজেই অনিশ্চিত সাকিব!

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে হঠাৎ চোটে আক্রান্ত হন সাকিব আল হাসান। ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাঁ হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে ব্যথা পান তিনি। আঙুল ফেটে যায় এবং সেলাই পর্যন্ত করাতে হয়েছিল। এই চোটের কারণে সেই ম্যাচে তো খেলতেই পারেননি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দল থেকেও ছিটকে পড়েন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এবার শোনা গেল নতুন খবর, শুধু প্রথম টেস্টেই নয়, দ্বিতীয় টেস্টেও তাঁর ফেরা নাও হতে পারে।

পুরোপুরি সুস্থ না হয়ে সাকিবের ফেরা উচিত নয় বলে মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেটে বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক ডাক্তার দেবাশীষ চৌধুরী। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সাকিবের বাঁ হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে ব্যথা পেয়েছেন। মূলত ব্যথাটা সে আঙুলের জয়েন্টে। এ ধরনের ইনজুরি সারতে একটু সময় নেয়। আজই (মঙ্গলবার) হাতের প্লাস্টার খোলা হবে। আমরা চিন্তিত ভেতরের চোট নিয়ে। তাড়াতাড়ি খেলায় ফিরে আসতে গিয়ে যেন ভবিষ্যতে সমস্যা হয়, সেটা আমরা চাই না।’

বিসিবি চিকিৎসকের এই কথায় বোঝা যাচ্ছে, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টেও খেলা নাও হতে পারে সাকিবের। আর টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে পারবেন কি না, সেটাও বোঝা যাচ্ছে না।

অবশ্য সাকিব বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব ফিরে পেয়েছেন গত ডিসেম্বরে। সিরিজের প্রথম টেস্টে তিনি খেলতে না পারায় সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন।

চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম প্রথম টেস্ট শুরু হবে আগামীকাল বুধবার। চলবে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্ট হবে ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি। এর পর হবে দুটি টি-টোয়েন্টি। ১৫ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি যথাক্রমে ঢাকা ও সিলেটে।

অবশ্য গত ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে সাকিবের পারফরম্যান্স ছিল বেশ উজ্জ্বল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ৩৭ রান ও বল হাতে তিন উইকেট নেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ৬৭ রান করেন এবং তিন উইকেট পান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচেও তিনি ছিলেন সফল, ৫১ রান করেন এবং তিন উইকেট পান। এদিন ফাইনালেও বল হাতে খুব একটা খারাপ করছিলেন না, পাঁচ ওভার বল করে ২০ রান নিয়ে ভালোই বল করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোটে আক্রান্ত হন। বাঁ হাতের আঙুলে ব্যথা পেয়ে মাঠে ছেড়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। ব্যথাটা এমন যে পরে আর ফিল্ডিং ও ব্যাট করতেও পারেননি।