প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়ার ছবি ভাইরাল, শাস্তির মুখে ট্রাফিক সার্জেন্ট

বেআইনি পার্কিং। শাস্তি হিসাবে গাড়িচালকের চাবি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন কর্তব্যরত ট্রাফিক কর্মী। যিনি অপরাধ ধরলেন, তার হাতে টাকে গুঁজে দিতেই সাত খুন মাফ হয়ে গেল। গায়ে উর্দি চড়িয়ে দিনের আলোয় নির্দ্বিধায় ঘুষ নিলেন ট্রাফিক কনস্টেবল। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের এঘটনার ছবি প্রকাশ্যে আসতে শোরগোল পড়ে গেছে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তদন্ত শুরু হয়েছে।

আইন রক্ষকদের একাংশ কীভাবে উর্দিকে ব্যবহার করে আইন হাত তুলে নিচ্ছেন তার ছবি মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে। অপরাধের সঙ্গে সমঝোতা করতে অন্যায়ভাবে হাত পাততেও তারা কুণ্ঠাবোধ করেন না। এমনই এক লজ্জার নজির দেখা গেল মধ্যপ্রদেশে। গোয়ালিয়রের শিন্ডে কি চাওয়ানি এলাকায় সবসময় গাড়ির চাপ থাকে।

গোয়ালিয়র শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা এটি। সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায় শিন্ডে কি চাওয়ানিতে এক কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকর্মী ঘুষ নিচ্ছেন। ট্রাফিক আইন ভাঙায় এক গাড়িচালকের চাবি আটকে রেখেছিলেন ওই ট্রাফিক সার্জেন্ট। কিছুক্ষণ পর গাড়িচালক কিছু টাকা পুলিশকর্মীর হাতে তুলে দেন। বাঁ হাতে টাকা পকেটে ঢুকিয়ে, ডান পকেট থেকে চাবি ফিরিয়ে দেন ওই পুলিশকর্মী।

স্থানীয় লোকজন এই ছবি দেখে বলছেন অন্য কোনও কাজে পুলিশকে পাওয়া যায় না। অথচ উৎকোচ পেতেই পুলিশের কী তৎপরতা। একেবারে দেওয়া-নেওয়া নীতি। রাস্তার পাশে এক দোকানের সামনে প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়ার ছবি প্রশাসনিক মহলে হইচই পড়ে যায়। ভিডিওটি নজরে আসায় গোয়ালিয়রের এসপি অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মধ্যপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। গত বছর বিজেপি শাসিত এই রাজ্যের এক পুলিশ অফিসার বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। এক শহিদ জওয়ানের চুরি যাওয়া পদক খুঁজে দেওয়ার ‘পারিশ্রমিক’ হিসাবে কয়েক হাজার টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন ওই পুলিশ অফিসার। প্রশাসনের মুখ পুড়িয়ে সম্প্রতি ওই রাজ্যের লোকায়ুক্ত জানিয়েছিল, দেশের দুর্নীতির রাজধানী হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রদেশ। গোয়ালিয়রের ছবি দেখিয়ে গেল লোকায়ুক্তের পর্যবেক্ষণে ভুল নেই।