প্রথমদিন বুস্টার ডোজ নিলেন যেসব মন্ত্রী

দেশের বয়স্ক মানুষ, ফ্রন্টলাইনার হিসেবে যেসব ডাক্তার, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা এবং সাংবাদিক কাজ করে যাচ্ছেন তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে।

রোববার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) অডিটোরিয়াম হলে ‘বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রম’ উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এ সময় তারা বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেন। এছাড়াও বুস্টার ডোজ নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও পুলিশ সদস্য সুলতান।

ডোজ কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বুস্টার দেয়া হলেও টিকার কোনো ঘাটতি নেই। বুস্টার ডোজের পাশাপাশি টিকার অন্য সকল কার্যক্রমও চলমান থাকবে। দেশে এখন পর্যন্ত যারা কোভিডে মারা গেছেন তাদের ৮৫ শতাংশ মানুষই ষাটোর্ধ। কাজেই তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে আগে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ২৮ ডিসেম্বরের আগে সুরক্ষা অ্যাপ আপডেট করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে আইসিটি বিভাগ। আপডেটের পর এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে কারা কারা পাচ্ছেন বুস্টার ডোজ। শুরুতে আমরা ফাইজারের বুস্টার ডোজ দেব। এরপর মডার্নাও দেয়া যাবে।

এর আগে গত শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ শুভ্র সেন্টারে পিঠা-পুলি উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, বুস্টার ডোজ দেওয়ার যাবতীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফাইজার দিয়ে শুরু হবে বুস্টার ডোজ।

তিনি জানান, দেশের প্রায় সাত কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ এবং প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বুস্টার ডোজ দেওয়ার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং পরে এর আওতা ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে।

আর প্রায় পাঁচ কোটি টিকা এ মুহূর্তে সরকারের হাতে আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বুস্টার ডোজ কারা পাবে?
করোনাভাইরাসের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ যাদের নেওয়া হয়েছে তাদেরই একটি নির্দিষ্ট সময় পর তৃতীয় ডোজ নিতে হবে এবং এটিই বুস্টার ডোজ।

তবে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কত দিন পর বুস্টার ডোজ নেওয়া হবে এবং প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে যে টিকা দেওয়া হয়েছিল সেটিই তৃতীয় ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়।

দেশে এ মুহূর্তে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, মডার্না ও সিনোভ্যাক টিকা দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী শুক্রবার জানিয়েছিলেন যে, এ মুহূর্তে সরকারের হাতে প্রায় পৌনে পাঁচ কোটি টিকা আছে।