প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘নৌকা ঠেকাবেন কেন?’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা শ্রেণি আছে, তারা নাকি উন্নয়ন চোখে দেখে না। তারা আবার বলে নৌকা ঠেকাও। কেন নৌকা ঠেকাবেন? সামনে তো বন্যা আসছে তখন আপনাদের দলের নেতারা রিলিফ দিতে গেলে নৌকা লাগবে। তাহলে নৌকা ঠেকাবেন কেন?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌকা থাকলেই দেশের মানুষের উন্নয়ন হয়।

শনিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এই সংবর্ধনা উৎসর্গ করছি বাংলার মানুষকে।’

ভারতের আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি অর্জন, মহাকাশে সফলভাবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট পাঠানো, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড অর্জন ও স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করা, চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়া এবং দেশের উন্নয়ন ও অর্জনে অনন্য সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিল বলে বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেয়েছে। স্বাধীনতা পেয়েছে, গণতন্ত্র পেয়েছে। বাংলাদেশে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। তাহলে নৌকা ঠেকাবেন কেন? রাজাকারদের ক্ষমতায় আনতে নৌকা ঠেকাবেন? যারা দেশের নাগরিক, গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকার ও উন্নয়নে বিশ্বাস করে না তারাই নৌকা ঠেকাতে চায়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নাকি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে। কোথা থেকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে? আজ জনগণের ভোটাধিকার জনগণের হাতে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকা থাকলেই দেশের মানুষের উন্নয়ন হয়। আজ বাংলাদেশ বিশ্বের মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। স্বাধীনতার পর ২১ বছর দেশের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি মুখে ভারত বিরোধিতা করলেও ভেতরে ভেতরে ভারতের তোসামোদি করে। এমনকি নিজের দাবির কথাটা বলতেও ভুলে যায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটি ভুলে না। কারণ আওয়ামী লীগের কাছে দেশ বড়, দেশের মানুষ বড়, মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন বড়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি দেশকে জঙ্গিবাদের আস্তানা বানিয়ে গেছে। আমরা সেখান থেকে দেশকে রক্ষা করেছি। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত আছে। মাদক নির্মূলে কাজ করছি। যে মাদকের কারণে পরিবার, মেধাবী শিক্ষার্থীরা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সেই মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’