প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ নেই, গুজব রটালে কঠোর শাস্তি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। তবে একটি চক্র গুজব রটানোর চেষ্টায় আছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর আছি। কাউকে পাওয়া গেলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রবিবার রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলে জেএসসি পরীক্ষা থাকার কথা নয়, মূল্যায়ন হবে ভিন্ন পদ্ধতিতে।

তিনি বলেন, ‌‘সারাদেশে এসএসসি, দাখিল, ভোকেশনাল পর্যায়ে ২২ লাখের বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছি। কোথাও কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নেব।’

পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে অভিভাবকদের ভিড়

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে রবিবার কেন্দ্রে আসে শিক্ষার্থীরা। তখন কেন্দ্রের বাইরে অভিভাবকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। প্রথম শিফটের পরীক্ষা শেষ হয় বেলা সাড়ে ১১টায়। তখনও অভিভাবকদের ভিড় দেখা গেছে।

রাজধানীর মতিঝিল বালক উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে সকালে দেখা যায়, কেউ ছেলে, কেউ মেয়ে, আবার কেউ নিজের ছোট ভাই-বোনসহ পরিবারের কোনো সদস্য পরীক্ষার্থীকে নিয়ে কেন্দ্রে আসেন। এতে করে বেড়ে যায় ভিড়।

পরীক্ষার্থী তৃণা আক্তারকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে আসেন তার তারা দুলাল মিয়া।
তিনি বলেন, ‘করোনাকাল। একটু বাড়তি চিন্তা তো আছেই। স্বাভাবিক অবস্থায় অভিভাবকদের ভিড়তো থাকেই। কিন্তু এই মহামারির সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সবাই এসেছে। তারপর ভিড় হয়ে গেছে। কিন্তু মেয়ে যেন মানসিকভাবে যেন ভেঙে না পড়ে, তাই এলাম।’

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের পর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। তবে একটি চক্র গুজব রটানোর চেষ্টায় আছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর আছি। কাউকে পাওয়া গেলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা রবিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়। পরীক্ষা হয় দুই শিফটে। সকালের শিফটের পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। আর বিকালের শিফট ২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।

এবার এসএসসি পরীক্ষায় ১৮ লাখ ৯৯৮ জন, দাখিলে ৩ লাখ ১ হাজার ৮৮৭ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল) ১ লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ছাড়াও আটটি দেশে ৪২৯ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবে।

এ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন। সে হিসাবে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন। বৃদ্ধির এ হার ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ।