বড় লক্ষ্যের সামনে বাংলাদেশ

সকালের শুরুটা দারুণ ছিল বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। তবে বৃষ্টির আসা-যাওয়ার মধ্যে শরিফুলের ধাক্কা কাটিয়ে বেশ বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ৩০ ওভারের ম্যাচে কিউইদের ইনিংস থেমেছে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রানে।

ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৪৫ রান।
তিন ধাপে বৃষ্টি হানা দিয়েছে ম্যাচে। টসের পর প্রথম দফা ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট দেরিতে শুরু হয়েছিল ম্যাচ। সে যাত্রায় ওভার কমেছিল ৪টি।

দ্বিতীয় দফা আবার বৃষ্টি নামে ম্যাচের ১৪তম ওভারের পঞ্চম বলে। তখন ওভার কমে আরো ৬টি। তৃতীয় ধাপে বৃষ্টির পর ম্যাচ নেমে আসে ৩০ ওভারে। নিউজিল্যান্ডের বড় সংগ্রহের মূল কৃতিত্ব টম ল্যাথাম ও উইল ইয়াংয়ের।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন রান ১৭১ রান। ল্যাথামকে ৯২ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে মার্ক চ্যাপম্যানকে নিয়ে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন ইয়াং। চতুর্থ উইকেটে মাত্র ২২ বলের জুটিতে দুজন তোলেন ৫৪ রান। ১১ বলে ২ ছক্কা ও এক চারে ২০ রান করে রানআউট হয়েছেন চ্যাপম্যান।

তবে ইয়াং থামেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করে। রানআউট হওয়ার আগে ৮৪ বলে ১৪ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৫ রান করেছেন এই ওপেনার। এরপর রানআউটে আরো দুই উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। শেষ ১০ ওভারে ১২৮ রান করেছে স্বাগতিকরা। অথচ দিনের শুরুতে অন্য বার্তা দিয়েছিলেন শরিফুল। ইনিংসের প্রথম ওভারে উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানিয়ে এই বাঁহাতি পেসার ফেরান রাচিন রবীন্দ্রকে। মুখোমুখি দ্বিতীয় বলে শরিফুলের অফ স্টাম্পের একটু বাইরের বল রাচিনের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে মুশফিকের গ্লাভসে।

এক বল পর শরিফুলের দ্বিতীয় শিকার হেনরি নিকোলস। অফ স্টাম্পের বাইরের গুড লেংথের বলটা বেরিয়ে যাওয়ার পথে নিকোলসের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা এনামুল হক বিজয়ের তালুবন্দি হয়।নিউজিল্যান্ডের বিপর্যয় আরো ঘনীভূত হতে পারত যদি সৌম্য সরকার ল্যাথামের ক্যাচটা ঠিকঠাক নিতে পারতেন।মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ১৮ রানের সময় জীবন পান ল্যাথাম। তখন নিউজিল্যান্ডের স্কোর ১০ ওভারে ৩৭ রান। সেই ল্যাথামের সঙ্গে ইয়াংয়ের সেঞ্চুরি বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছে কিউইদের।