বস্তায় মেয়ের লাশ কাঁধে ৮ কিমি হাঁটতে হলো বাবাকে!

ঘূর্ণিঝড় তিতলির আঘাতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ৭ বছরের শিশু ববিতা। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্ত করাতে হবে। তাই ববিতার বাবাকে বলা হয় লাশ নিয়ে হাসপাতালে যেতে।

কিন্তু দরিদ্র বাবার গাড়ি ভাড়া করার অর্থ নেই। তাই মেয়ের লাশ কাঁধে নিয়ে ৮ কিলোমিটার হেটে হাসপাতালে যেতে হলো বাবা কুন্দ দোরাকে।

ভারতে ওড়িশ্যায় সম্প্রতি মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ২০১৬ সালে সেখানে প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। সেবার স্ত্রীর লাশ কাঁধে নিয়ে স্বামীকে ১০ কিলোমিটার হাঁটতে হয়েছিল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজের খবরে বলা হয়েছে, ওড়িশ্যার গজপতি জেলার আতঙ্কপুর গ্রামে গত ১১ অক্টোবর নিখোঁজ হয়ে যায় মুকুন্দ দোরার ৭ বছরের মেয়ে ববিতা।

ববিতার বাবা ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিতলির সময় ধসে চাপা পড়ে ববিতার মৃত্যু হয়। বুঝবার মৃতদেহটি পাওয়া যায় একটি নালার মধ্যে।

লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশ। মুকুন্দ গণমাধ্যমকে জানান, পুলিশ এসে লাশের ছবি তুলে নিয়ে যায়। বলে যায়, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভবানীপাটনা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

পুলিশ লাশ নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা করেনি। মেয়ের লাশ আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে বলে নির্দেশ দিয়ে যায়। গরিব মানুষ। গাড়ি ভাড়া করার সামর্থ্য আমার নেই। ফলে মেয়ের লাশ বস্তায় ভরে কাঁধে করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।