বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও উচ্চতায় নেওয়ার প্রতিশ্রুতি জয়শঙ্করের

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চলতি বছরে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর এক টুইট বার্তায় তিনি এ কথা জানিয়েছেন।

জয়শঙ্কর বলেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ভালো বৈঠক হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিনে এই বৈঠক যথাযথ।’ তিনি বলেন, ‘২০২১ সাল বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের জন্য একটি দারুণ বছর ছিল। চলতি বছর এ সম্পর্ককে আরও উচ্চতর পর্যায়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করছি।’ ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এখন ফ্রান্স সফর করছেন।

ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর মনে করেন, মুজিব চিরন্তনের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের কারণে ২০২১ সাল দুই দেশের সম্পর্কের জন্য বিশেষ স্থান হিসেবে গণ্য হবে। ৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে বিশ্বের ১৮ দেশের রাজধানীতে সফলভাবে যৌথ অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির ওপর আবারও জোর দেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ব্যাপারে তার সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনের আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।

এদিকে, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন আজ বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুই দিনের সফরে ভারতে যাচ্ছেন। আগামীকাল তিনি দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে জেসিসির আলোচ্যসূচি এবং এ বছরের শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফর নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে।

অন্যদিকে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও ভারতের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষি লেখি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে সম্মত হয়েছেন। সোমবার নয়াদিল্লিতে এক বৈঠকে তারা এই সম্মতি প্রকাশ করেন। তারা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও কার্যকর করার জন্য উভয় দেশের জনগণের মধ্যে সম্পৃক্ততার স্তরকে উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।