বিএনপির দিকে তাকিয়ে আ’লীগ, জাতীয় পার্টিসহ অন্যরা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না সেদিকে তাকিয়ে আছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও সরকার সমর্থক রাজনৈতিক মিত্ররা।

বিএনপির সিদ্ধান্তের পর চূড়ান্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।

বিএনপির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজই পাওয়া যেতে পারে। দলটি নিজেদের মধ্যে, শরিকদের সঙ্গে এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে শনিবার বৈঠক করছে। তিনটি বৈঠক শেষ হলে দলটির সিদ্ধান্ত জানা যেতে পারে।

এদিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর শনিবার থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, মিত্র জাতীয় পার্টি ও সরকার সমর্থক রাজনৈতিক দলগুলো।

তবে ক্ষমতাসীনদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি কী ধরনের, তা এখনো পরিষ্কার নয়। বিষয়টি নিয়ে দলগুলোর ভেতরে একটা চাপা দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করছে। বিএনপি নির্বাচন করবে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। তাই সামনে সম্ভাব্য পরিস্থিতি হচ্ছে দুই রকম হতে পারে।

রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপি এবার নির্বাচনে এলে অতীতের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে যেভাবে আসন বণ্টন হয়েছে এবার তা নাটকীয়ভাবে বদলে যেতে পারে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যারা কিনছেন তাদের মধ্যে আছে উৎকণ্ঠা। তাদের আগ্রহ বিএনপি সিদ্ধান্তের দিকে। অনেকের মধ্যেই এই প্রশ্ন কাজ করছে, বিএনপি এবার নির্বাচনে অংশ নিলে কী হবে, আর না নিলে কী হবে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, পুরো বিষয়টিই নির্ভর করবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামনে ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন হয়’ তার ওপর। সংলাপের সময় ও তার পরে জাতীয় পার্টি নিজেই বলেছে বিএনপি না এলে তারা তিনশ’ আসনেই নির্বাচন করবে।

ফারুক খান বলেন, আর যদি বিএনপি আসে তাহলে মহাজোটে থেকেই নির্বাচন করবে তারা। তাই বিষয়টি নির্ভর করছে রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপরই।

বিএনপি এলে বা না এলে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে কতটি আসন দেবে তা চূড়ান্ত হয়েছে কিনা এ বিষয়ে ফারুখ খান বলেন, আমরা জোট সহযোগীদের জন্য ৬০ থেকে ৭০টি আসন রেখেছি। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যার জেতার সম্ভাবনা থাকবে কেবল তাকেই বিবেচনা করা হবে।