বিশ্বের নিকৃষ্ট এয়ারলাইন্সের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়া অন্যতম

ভারতের রাষ্ট্রীয় বিমান পরিচালনা সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া। তবে এয়ার ইন্ডিয়ার সার্ভিস যে মোটেই ভালো নয়, তা উঠে এসেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদনে। এয়ার ইন্ডিয়ার সেবা গ্রহণকারীরা প্রায়ই নানা ধরনের সমস্যার বিষয়ে অভিযোগ করেন। বাস্তবেও তেমন চিত্র উঠে এসেছে এক আন্তর্জাতিক সংস্থার জরিপে।

আন্তর্জাতিক সংস্থাটি জানিয়েছে, সবচেয়ে বাজে বিমান পরিষেবার তালিকায় বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় এয়ার ইন্ডিয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এভিয়েশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন অ্যাট ফ্লাইটস্ট্যাস সংস্থাটি বিভিন্ন বিমান সংস্থার ওপর এক জরিপের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করেছে।

আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে বিমানের আসা-যাওয়া নির্ধারিত সময়ে হয় কি না, কতবার বিমান বাতিল হচ্ছে, যাত্রী পরিষেবায় কোনো ত্রুটি আছে কি না- এমন আরও কিছু দিক খতিয়ে দেখে আমেরিকার ফ্লাইটস্ট্যাস তালিকা তৈরি করেছে।

যেসব অভিযোগের ভিত্তিতে এয়ার ইন্ডিয়ার র‌্যাংকিং এতটা কমেছে, তার মধ্যে রয়েছে সময়ানুবর্তিতা মেনে চলতে ব্যর্থতা। এ ক্ষেত্রে এয়ার ইন্ডিয়ার ঘাটতি অন্য সব বিমান সংস্থাকে যেন হারিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া যাত্রীদের সেবার নিম্নমান, ব্যাগ হারিয়ে যাওয়া, অব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কারণেও যাত্রীদের ভুগতে হয়।

জরিপের ফলাফল অবশ্য প্রত্যাখ্যান করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। তারা জানিয়েছে এ প্রতিবেদন সম্পূর্ণ সত্য নয়।

অবশ্য এয়ার ইন্ডিয়ার আর্থিক হিসাবটাও অত্যন্ত করুণ। কারণ এ বিমান সংস্থার রয়েছে ৪৬,৫৭০ কোটি রুপি ঋণ। প্রতিদিন কার্যক্রম চালাতে সংস্থাটির ৫৮ লাখ রুপি লোকসান হয়। তবে সব সময় এ ক্ষতি এয়ারলাইন্সের নিজস্ব ত্রুটির জন্য হয় না। এতে চলাচল করে ভারতের ভিভিআইপিরাও। আর তাদের কাছেই এয়ার ইন্ডিয়ার পাওনা রয়েছে ৭৫০ কোটি রুপি।

এভিয়েশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন অ্যাট ফ্লাইটস্ট্যাসের ভাইস প্রেসিডেন্ট জিম হেটজেল জানান, এই তালিকা তৈরির আগে বিমান সংস্থার বিষয়ে প্রায় ৫০০ আলাদা সূত্র থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যে ফ্লাইটস্ট্যাস ২০১৬ সালের সবথেকে খারাপ পরিষেবা দেয় ১০টি আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থার তালিকা করেছে। এই তালিকায় এয়ার ইন্ডিয়ার পাশাপাশি কোরিয়ান এয়ার, এয়ার চীন, হংকং এয়ারলাইন্স, আইসল্যান্ড এয়ার, আশিয়ানা এয়ারলাইন্স রয়েছে।

অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বিমান সংস্থার তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে কেএলএম (নেদারল্যান্ডস)। এরপর রয়েছে ইবেরিয়া (স্পেন) ও জেএএল (জাপান)।