বিয়ের পরেই চম্পট দিতেন! একের পর এক বিয়ে করে শ্রীঘরে তরুণী!

গত দু’বছরে তিনি বিয়ে করেছেন অন্তত ১১টা! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন ১১টা। এর মধ্যে গত আগস্ট মাসেই চারবার বসেছেন বিয়ের পিঁড়িতে! প্রিয়াঙ্কার চোপড়ার ‘সাত খুন মাফ’ ছবিটার কথা মনে পড়ছে?

এটা কিন্তু কোনও সিনেমার গল্প নয়। একেবারে খটখটে বাস্তব। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে শ্রীঘরে সেই কন্যে। তবে প্রিয়াঙ্কা অভিনীত হিন্দি ছবির মতো খুনখারাপিতে তার উৎসাহ নেই। তিনি বিয়ে করতেন কেবল পয়সার জন্য। এই খবরে কেবল থাইল্যান্ড নয়, হইচই পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ৩২ বছরের জারিয়াপর্ন বুয়াই ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্ব করতেন পুরুষদের সঙ্গে। আস্তে আস্তে ভার্চুয়াল সম্পর্ক থেকে সামনাসামনি দেখা করা। ক্রমে শারীরিক সম্পর্ক। তারপর বিয়ে। তারপরই মোটা টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিতেন কনে ভাগলবা।

আসলে, থাইল্যান্ডে বিয়ে করলেই বরপক্ষ কনেকে পণ দেয়। আর সেই কারণেই এই কন্যের বিয়ে করতে এত উৎসাহ। প্রতিটি নতুন বিয়ে থেকেই সে রোজগার করে ফেলত ৬০০০ ডলার থেকে ৩০০০০ ডলার পর্যন্ত। কেবল টাকাই নয়, অন্যান্য সম্পত্তিও যা পারত হাতিয়ে নিত সে। কিন্তু কেমন করে প্রত্যেক বার নিজেকে সেই সম্পর্ক থেকে সরিয়ে নিতেন ওই মহিলা!

জানা গিয়েছে, একেক বার একেক রকম অজুহাত খাড়া করতেন তিনি। কখনও বলতেন, পারিবারিক ফলের ব্যবসা সামলাতে তাকে ফিরে যেতে হবে। কখনও আবার বলতেন, রাশিফল অনুযায়ী, এই সময়টা তার পক্ষে বিবাহিত জীবন যাপন করা সম্ভব নয়। তাই ক’দিনের ব্রেক দরকার। এমনই নানা বিচিত্র কারণ দেখিয়ে কেটে পড়তেন জারিয়াপর্ন বুয়াই।

এ ভাবেই চলছিল। এর মধ্যেই তার সাবেক স্বামীদের একজন ফেসবুকে সব কথা ফাঁস করে দেন। কে এমন করেছিলেন সেটা জানা না গেলেও, এরপর থেকেই ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে যেতে শুরু করে।

অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে ‘রানওয়ে ব্রাইড’কে। সঙ্গে ছিলেন একজন পুরুষ সঙ্গী। সন্দেহ করা হচ্ছে, এই লোকটিই ওই মহিলার আসল স্বামী। এর সঙ্গেই হয়তো পরিকল্পনা করে ফাঁদ পাততেন দু’জনে।

পুলিশের সন্দেহ, ১১ নয়, সংখ্যাটা আরও বেশি! এখনও পর্যন্ত ওই মহিলার কাছ থেকে মিলেছে ৯০০০০ ডলারেরও বেশি পরিমাণ অর্থ।

তবে জারিয়াপর্ন বুয়াই কাঁচুমাচু মুখ করে পুলিশকে নাকি জানিয়েছেন, তিনি মোটেই অতজনকে বিয়ে করেননি। সংখ্যাটা খুব বেশি হলে ৭। আর তিনি কাউকেই ঠকাননি। কারও থেকে পণও নেননি। প্রত্যেকেই তার পারিবারিক ফলের ব্যবসায় ওই অর্থ লগ্নি করেছেন মাত্র।