ভাগ্নের চাপাতির কোপে মামার মৃত্যু

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে জমি সংক্রান্ত জেরে ভাগ্নের চাপাতির কোপে আশঙ্কাজনক সেই মামার মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে এক সপ্তাহ যাবৎ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শুক্রবার দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহসীন আলী তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ভাগ্নে এখনো পলাতক রয়েছে।

মামলা ও স্থানিয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সান্তাহার ইউপির উথরাইল জাহানাবাজ গ্রামের মৃত শাহাদত হোসেনের ছেলে ও সান্তাহার পৌর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লার্ক আবুল কালাম আজাদ নামী এবং তার আপন ভাগ্নে একই গ্রামের আনোয়ার হোসেন ওরফে সাদ্দামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে উভয়পক্ষ সমঝোতার জন্য কয়েক দফায় চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। সবশেষে শুক্রবার সকালে জমিটির মাপজোখ করতে ভাগ্নে সাদ্দাম তার মামাকে সেখানে উপস্থিত হতে বলেন।

কিন্তু তার মামা ওই সময় উপস্থিত না হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে খুঁজে বের করে দেশীয় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।

এতে শরীর থেকে তার হাত-পা বিচ্ছন্ন হওয়ার উপক্রম হয়। গুরুতর আহত আবুল কালাম আজাদকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজও হাসপাতালে নেয়ার পর অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এক সপ্তাহ ধরে সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় তার মৃত্যু হয়।

আদমদীঘি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হয়রত আলী জানান, ঘটনায় দিন রাতেই নিহতের ভাই আব্দুস সালাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

আসামী আনোয়ার হোসেন সাদ্দাম পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য তৎপরতা চালানো হচ্ছে।