ভারত-চীন অবশ্যম্ভাবী যুদ্ধে নেপাল কোন দেশের পক্ষে?

ডোকলাম থেকে ভারতীয় সেনা হটাতে যেকোন মুহূর্তে চীন অপারেশন চালাতে পারে। ডোকালাম নিয়ে চীন তাদের অবস্থান থেকে সরে আসবে না- চীনা সংবাদমাধ্যমে সে কথাও স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হচ্ছে।

তবে ভারত-চীন সমস্যায়, চীন নেপালকে পাশে পেতে চাইলেও, নেপাল তার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে জানায়, নেপাল কোন দেশের পক্ষেই নেই৷ সম্প্রতি একথা জানিয়ে দিয়েছেন নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী কৃষ্ণ বাহাদুর মহারা।

তিনি জানান, ভারত-চীন তাদের সমস্যা সমাধানে কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করুক৷ তবে নেপাল কোন দলেই পক্ষে নেই৷ নেপাল চায় না তাকে এই ইস্যুতে জড়িত করা হোক৷ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে নেপালকে টেনে আনা হলেও, নেপাল যে এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত নয় তা স্পষ্ট করে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা ভারত সফরে যাবেন৷ তারই প্রস্তুতি চলছে৷ অন্যদিকে চীনের পক্ষ থেকে ওয়াং-ইয়াং নেপাল সফরে আসবেন বলে জানান তিনি৷

এদিকে চীনা সংবাদমাধ্যমের দাবি, ভারত তাদের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী একটি দেশের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে। যার একমাত্র ফলাফল যুদ্ধ হতে পারে বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের এমন আচরণে চীনারা রীতিমত হতবাক বলেও দাবি করা হয়েছে।

গ্লোবাল টাইমসের একটি এডিটোরিয়ালে সতর্ক করে লেখা হয়েছে, চীনের সেনা ডোকালাম থেকে অনায়াসে ভারতীয় সেনাকে সরিয়ে দিতে পারে। চীনের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ভারতীয় সেনা কখনই চীনের বাহিনীর যোগ্য নয়। যদি যুদ্ধ হয়, তাহলে সীমান্ত থেকে অনায়াসে সমস্ত ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে সরিয়ে দেবে চীন।

চীনের প্রতি কঠোর হয়ে মোদি যে আসলে বিপদ ডেকে আনছেন, তেমনটাই মত চীনের। এইভাবে আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করা হচ্ছে ও দেশের মানুষের শান্তি নষ্ট হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মোদি সরকার যদি পিছিয়ে না যায়, তাহলে তারা দেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে, যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না মোদি। ’

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন থেকে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ডোকলামে চীনা সেনাকে রাস্তা তৈরিতে বাধা দেয় ভারত। তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে শুরু হয়ে যায় উত্তেজনা। ভারতের দাবি, ডোকলাম সীমান্ত অঞ্চলটি তাদের দেশের অর্ন্তগত। কিন্তু চীনের দাবি, ১৮৯০ এর ব্রিটিশ ও চীনের এক চুক্তি অনুযায়ী ওই অঞ্চলটি তাদের।