ভালুকায় বিস্ফোরণে দগ্ধ কুয়েট শিক্ষার্থী শাহীন মারা গেছেন

ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি ভবনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ছাত্র শাহীন মিয়া মারা গেছেন।

বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ঢামেক বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য শাহীনের মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।

এর আগে বুধবার সকালে ঢামেক বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. সামন্ত লাল সেন একান্তে জানিয়েছিলেন, দগ্ধ তিনজনের মধ্যে শাহীনের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৮৩ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভালুকার জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার আর এস টাওয়ার নামের ওই ছয়তলা ভবনের তৃতীয় তলায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ওই বাসার কাচ, পার্টিশন ও দুটি দেয়াল চুরমার হয়ে যায়। এতে তাওহীদুল ইসলাম তপু নামে ২৪ বছর বয়সী এক যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন বাকি তিন বাসিন্দাও।

হতাহত চারজনই খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। একটি টেক্সটাইল মিলে ইন্টার্ন করতে ভালুকায় এসে গত ১০ মার্চ ওই বাসা এক মাসের জন্য ভাড়া নিয়েছিলেন তারা।