ভাসমান সেতুর পাড়ে গড়ে উঠছে পিকনিক স্পট

যশোরের মণিরামপুরে স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত ভাসমান সেতুটি দেখতে ভিড় করছে মানুষ। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিনই শত শত মানুষ আসছে ভাসমান এই সেতুটি দেখতে। গত ২ জানুয়ারি বিকালে সেতুটি উদ্বোধন করার পরই তা জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়। এরপর থেকেই প্রতিনিয়ত জনতার ঢল নামছে রাজগঞ্জের ঝাঁপা বাঁওড়ে প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর নির্মিত ব্যতিক্রমী এই সেতুটি দেখতে। দর্শনার্থীদের চাহিদার কথা ভেবে সেতুর পশ্চিম পাড়ে গড়ে উঠছে একটি পিকনিক স্পট।

সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভাসমান এই সেতুটি দেখতে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন বয়সী ও শ্রেণিপেশার হাজার হাজার মানুষ সেতুটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।

ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীদের চাপ বেশি বাড়ছে। আবার অনেকে দল বেঁধে এখানে আসছেন পিকনিকে। তাইতো দর্শনার্থীদের চাহিদার কথা ভেবে সেতুর পশ্চিম পাড়ে ঝাঁপা গ্রামে গড়ে উঠছে একটি পিকনিক স্পট।

সেতু নির্মাণ কমিটিসহ স্থানীয়দের প্রায় ত্রিশ বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠছে পিকনিক স্পটটি। আবার দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে ওই পাড়ে বসছে নাগরদোলা। একইসাথে সেতুর দুই পাড়ে বসেছে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী দোকান। ফলে সেতুটি ঘিরে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেকের। বেড়েছে দোকানপাটে বেচাকেনা।

গত ২ জানুয়ারি ঝাঁপা গ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাওড়ের পশ্চিম প্রান্তে ফিতা কেটে সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন।

কপোতাক্ষ নদের উপর নির্মিত এই ভাসমান সেতু নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ৭০ লাখ টাকা। প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর লোহার পাত দিয়ে বানানো হয় সেতুটি।

নিজেদের পরিকল্পনাতেই ৮৩৯টি প্লাস্টিকের ড্রাম, ৮০০ মণ লোহার অ্যাঙ্গেলপাত ও ২৫০টি লোহার সিটের মাধ্যমে লোহার পাত দিয়ে একের পর এক ড্রাম যুক্ত করে তৈরি করা হয় সেতুটি। সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল, ভ্যান, নসিমন পারাপার হতে পারবে।